সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সালাউদ্দিনের টার্গেট ১৫০

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সালাউদ্দিনের টার্গেট ১৫০

একে একে তিনবার নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে টানা ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে একই পদের জন্য লড়াই করবেন তিনি। ৩ অক্টোবর নির্বাচিত হলে নতুন উদ্যোমে ফুটবল উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচ তারা হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় এমনটাই বলেছেন তারা। গত নির্বাচনে সালাউদ্দিন প্যানেলের ইশতেহার ছিল ২৫ দফার। এবার ৩৬ দফা। নতুন ইশতেহারে আছে পুরনো অনেক প্রতিশ্রুতিও। আছে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে জাতীয় দলকে ১৫০’র কাছাকাছি নিয়ে আসার ঘোষণা।

সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছিল বাংলাদেশ। শেষবার এসএ গেমস ফুটবলে সোনার পদক জিতেছে ২০১০ সালে। বর্তমানে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আছে ১৮৭তম স্থানে। গত এসএ গেমস ফুটবলে ভারত ও পাকিস্তানের অনুপস্থিতি সত্ত্বে¡ও ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আরও অসংখ্য ব্যর্থতা আছে। তবে এতকিছুর পরও সালাউদ্দিনের দাবি, গত নির্বাচনের ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ৭০/৭৫ শতাংশ কাজ করতে পেরেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন গতবারের দেওয়া নিজের প্যানেলের ইশতেহার নিয়েও! সালাউদ্দিন বলেন, ‘২০১৬ সালের ইশতেহারের ৭০/৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। ওই ইশতেহার আমার দেওয়া ছিল না। ওই সময় কনফিউশন চলছিল। যখন ইশতেহার দেওয়া হয়, ওই মিটিংয়ে কিন্তু আমি ছিলাম না। আমি অফিস থেকে যে ইশতেহার দিয়েছি, সেখানে অনেক কিছু যোগ করা হয়েছিল। সেটা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। ২৫ শতাংশ কাজ না হওয়ায় আমি খুবই দুঃখিত। তবে এখানে যা বলা হয়েছে, প্রায় তিন মাস রিসার্চ করেই আপনাদেরকে দেওয়া হয়েছে।’ গত নির্বাচনে সালাউদ্দিন প্যানেলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আমিন। এবার তিনি আলাদা প্যানেল গড়ে নির্বাচন করতে  চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেন। সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘ভিত্তি স্থাপন হয়ে গেছে। এখন সহজেই বিল্ডিং গড়ে তোলা সম্ভব।’ সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন তিনি। সালাউদ্দিন বলছেন, ‘সামনে একটা লক্ষ্য তো থাকতে হবে। আমি বলিনি যে বিশ্বকাপ খেলবই। বলেছি বিশ্বকাপে খেলার চেষ্টা করব। এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে।’

একই প্যানেল থেকে সহসভাপতি প্রার্থী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই ফুটবল উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাব।’ তিনি ফুটবলের নবজাগরণের কথা বলেন। কিংস সভাপতিকে পরিচয় করে দেওয়ার সময় সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়াইয়ে নামা আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ইমরুল হাসান অল্প সময়েই ফুটবলে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ফুটবলের উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের তিনটি দল লিগে চ্যাম্পিয়নের জন্য লড়াই করে।’

কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফে মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলগুলোতে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জাতীয় দল ভারতের বিপক্ষে সল্টলেক স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে। নিয়মিত প্রিমিয়ার লিগও আয়োজন করা হয়েছে। এগুলোকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন সালাউদ্দিন। সামনের চার বছরে এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে চান তিনি। সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে কাজী সালাউদ্দিন সভাপতি, আবদুস সালাম মুর্শেদী সিনিয়র সহসভাপতি, ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, মো. আমিরুল ইসলাম বাবু, মো. আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক সহসভাপতি এবং ১৫ জন সদস্য পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন।

সমন্বয় ক্রীড়া পরিষদের প্রার্থীদের ২৩ সেপ্টেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর