শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কাদা ছোড়াছুড়িতে বিব্রত ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কাদা ছোড়াছুড়িতে বিব্রত ফুটবলাররা

মামুনুল ইসলাম

ফুটবলে বড্ড দুর্দিন চলছে। একযুগ ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে ঘুরে ফিরে পুরনো লোকরাই দায়িত্বে আছেন। ব্যর্থতার  জন্য সভাপতিকে দায়ী করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা দীর্ঘসময় নেতৃত্বে থাকলেও ফুটবলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে। গত তিন মেয়াদে তা হচ্ছেও। কিন্তু আসন্ন বাফুফে নির্বাচন ঘিরে কেউ কেউ অশ্লীল ভাষা বেছে নিয়েছেন। চেয়ারের বদলে বড় পদে থাকা কারও কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলছেন। যা দেখে সচেতন ক্রীড়ামহল যেমন বিস্ময় প্রকাশ করছেন, তেমনিভাবে জাতীয় দলের ফুটবলাররা এতটা বিব্রত যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এ নোংরা পরিবেশে ফুটবল খেলাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের কথা নির্বাচন ঘিরে অনেক কথাই উঠবে। কিন্তু নোংরামির আশ্রয় নিতে হবে কেন? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা তো সিনিয়র ভাইদের মাথার ওপরে রাখব। তাদের আদর্শ অনুসরণ করেই তো ফুটবলার হয়েছি। কিন্তু প্রতি নির্বাচনে কারোর কারোর কটূক্তিতে ব্যথিত হই। এবার তো মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ১২ বছরের উদাহরণ টেনে বাফুফের বড় পদে থাকা একজনের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছেন আরেক তারকা ফুটবলার। তার অশ্লীল কথা শুনলে মনে হয় বড় পদে থাকা এক ব্যক্তিই ফুটবল ধ্বংস করে দিয়েছেন। অবাক লাগে যিনি সমালোচনা করছেন তিনিও ১২ বছর ধরে কমিটিতে আছেন। তাহলে তিনি কি করলেন? এতই যখন ক্ষোভ তাহলে তিনি পদত্যাগ করলেন না কেন?’

মামুনুল বলেন, ‘কথায় কথায় বলা হচ্ছে ফুটবল লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখি ফুটবল ধ্বংস হলো কীভাবে? আপনারা হয়তো ঘরোয়া আসরে ভালো খেলেছেন। কিন্তু জাতীয় দলকে একটা শিরোপা এনে দিতে পেরেছেন কি? আপনারা যখন খেলতেন তখনো তো জাতীয় দল নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে। ১৯৮৪ সালে শুরু হলেও আমরা সাফ গেমসে প্রথম সোনা জিতেছি ১৫ বছর পরে। তাহলে তখন ফুটবলে স্বর্ণযুগ হয় কীভাবে? আপনারা কি আমাদের এটাই শেখাচ্ছেন। সাবেক হলে সেবার বদলে ফুটবলারদের অশ্লীল ভাষায় তিরস্কার করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর