বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

১২ বছরে ফুটবলের বেজেছে বারোটা

ইশতেহার ঘোষণার পর বললেন শফিকুল ইসলাম মানিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১২ বছরে ফুটবলের বেজেছে বারোটা

‘সালাউদ্দিন ভাই হয়তো হেভিওয়েট প্রার্থী। কিন্তু আমিও ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখি। ১২ বছরে ফুটবলে ১২ ইঞ্চিও উন্নয়ন হয়নি। বলা হচ্ছে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে। ফুটবল বাঁচাতেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’

 

সম্মিলিত পরিষদ প্যানেলে কাজী সালাউদ্দিন সভাপতি প্রার্থী। অন্য দিকে সমন্বয় প্যানেলে সব পদ থাকলেও শুধু সভাপতি প্রার্থী নেই। কাজী সালাউদ্দিন টানা চতুর্থ বার একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় দলের সাবেক নন্দিত ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক প্রথমবারের মতো বাফুফের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাও আবার সভাপতি পদে। প্যানেলে বাইরে থাকায় স্বতন্ত্র ভাবেই লড়ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে বড় চমকটা হচ্ছে মানিকের সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়া। সাবেক এ ফুটবলার বললেন, ‘চমক কিনা জানি না। দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছি। এখনো আছি। আমার রক্তে ফুটবল মিশে গেছে। কোনটা ভালো না মন্দ তা আমার জানা আছে। সালাউদ্দিন ভাই হয়তো হেভিওয়েট প্রার্থী। কিন্তু আমিও ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখি। ১২ বছরে ফুটবলে ১২ ইঞ্চিও উন্নয়ন হয়নি। বলা হচ্ছে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে। ফুটবল বাঁচাতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। সম্মানিত ভোটারদের কাছে দোয়া ও ভোট চাই। ১২ বছরের তারা তো ফুটবলের অধঃপতনটা দেখেছে। এখন সময় এসেছে নেতৃত্ব পরিবর্তনের।’

গতকাল  স্থানীয় এক হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহারে মানিক আবেগময় বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত ভোটারদের। তবে আমি এতটুকু বলব জিতলে আমি একা নয় ফুটবল উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। হারলেও ফুটবলের পাশে থাকব।

সালাউদ্দিনের ইশতেহারে ছিল ৩৬ দফা। আর মানিকের ২১। ফুটবল উন্নয়নে যা যা দরকার তার সবকিছুই ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সালাউদ্দিনরা ১২ বছরে যা পারেননি তা পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মানিক। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ছিল এ সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি না? মানিক বলেছেন ফুটবলে দরকার একতা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হয়। গত ১২ বছরে তা দেখা যায়নি। সবাইকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। এমন কি ২১ সদস্যের  কমিটির মধ্যে ছিল একাধিক গ্রুপ। মনে হতো ফুটবল ২/৩ জনের উপর নির্ভরশীল। এতে করে ফুটবল উন্নয়ন কি হয়? নিজেদের দ্বন্দ্বে ফুটবল ধ্বংসের মুখে।

মানিক বলেন, ফুটবল উন্নয়ন কখনো এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি সভাপতি নির্বাচিত হলে শুধু ২১ জন নয় যারা অভিজ্ঞ ও এক্সপার্ট তাদের সঙ্গী করব। আমি কোনোভাবে বলছি না চার বছরেই রাতারাতি সব পাল্টে দেব। ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে ফুটবলে একটা অবস্থান তৈরি করব। যা আগামীতে কাজে আসবে। সালাউদ্দিন ভাই যখন সভাপতি হন আমিও খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তার মতো এক্সপার্ট লোক ফুটবলে পরিবর্তন আনবেন। কী ভেবে ছিলাম আর কী হলো। ১২ বছরে ফুটবলে প্রায় বারোটা বেজে গেল। তবে আমি শুধু সালাউদ্দিন ভাইকে একা দায়ী করব না। যারা তার সঙ্গে ছিলেন তাদের তো অনেক কিছু করার ছিল। আসলে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। বাঙালির প্রাণের খেলা বাঁচাতে ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনার সুচিন্তিত রায়ই বদলে দিতে পারে ফুটবলকে।

সর্বশেষ খবর