শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফুটবলে বিপ্লবের ডাক

সমন্বয় পরিষদের ২৪ দফা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সম্মিলিত পরিষদ পুরো ২১ সদস্যের প্যানেল দিলেও সমন্বয় পরিষদে সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি নেই। তবে সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিককে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। মানিক হেসে উত্তর দিয়ে বলেন, আমি প্যানেলে নেই

 

প্যানেল পৃথক। তবে সম্মিলিত পরিষদ ও সমন্বয় পরিষদের ইশতেহার প্রায় একই বলা যায়। কাজী সালাউদ্দিনরা ৩৬ আর আশিকুর রহমান মিকুদের ২৪ দফা। এখানেই যা পার্থক্য। ফুটবল উন্নয়নে দুটি প্যানেলের প্রতিশ্রুতি একই সূত্রে গাঁথা। সম্মিলিত পরিষদ নিঃসন্দেহে শক্তিশালী প্যানেল। তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে বিভাগীয় ও জেলা সংস্থা নিয়ে সমন্বয় পরিষদ। ১৩৯ ভোটের মধ্যে তাদেরই ৭২ ভোট। এ কারণে ভাবা হচ্ছে লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি। ভোটের জন্য জেলায় জেলায় ঘুরেছে তারা। ক্রীড়াঙ্গনের নির্বাচনে লক্ষ্যণীয় বিষয়, বিভাগীয় ও জেলা ফোরাম যাদের সমর্থন দেয় তারাই জয়ী হয়। ব্যতিক্রম শুধু গতবারের হকি ফেডারেশনের নির্বাচন।

এমন ধাক্কা খেয়ে বাফুফের নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ঐক্যর কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্যানেলে সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া অভিজ্ঞ সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার বড় নেতা হিসেবে পরিচিত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক আশিকুর রহমান মিকু দৃঢ়ভাবে বলে আসছিলেন জান যাবে তবু ফোরামের ভোট জায়গা মতোই পড়বে। গতকাল হোটেল ৭১-এ সমন্বয় পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে মিকু বলেছেন এবার বিপ্লব ঘটবেই। নির্বাচনে আমরাই জিতব ইনশাল্লাহ। যদি হেরে যাই তাহলে কথা দিচ্ছি দীর্ঘ ৫০ বছরে সাংগঠনিক ক্যারিয়ার থেকে অবসর নেব। মিকুর এ ধরনের বক্তব্য হয়তো বা সালাউদ্দিনদের কাঁপুনি ধরাতে পারে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যি যে সমন্বয় পরিষদের অনুষ্ঠানে সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়েছে। শুরুতে বেশ কজন কাউন্সিলর ছিলেন না। সবচেয়ে দৃষ্টিকটূ লেগেছে সিনিয়র সংগঠকদের গুরুত্ব না দেওয়া। ৫০ বছর ছাড়িয়ে গেছে ফজলুর রহমানের সাংগঠনিক ক্যারিয়ার। অথচ তাকেই কি না ডায়াসে বসানো হয়নি। বক্তব্য দেওয়ারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ সালাউদ্দিনবিরোধী প্যানেল গড়ার পেছনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

সম্মিলিত পরিষদ পুরো ২১ সদস্যের প্যানেল দিলেও সমন্বয় পরিষদে সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি নেই। এ ব্যাপারে মিকুর বক্তব্য ছিল সভাপতি পদটি ফাঁকা রয়েছে। অথচ সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিককে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। মানিক হেসে উত্তর দিয়ে বলেন, আমি প্যানেলে নেই। ভোটারদের কাছে দোয়া ও ভোট চাইতে এসেছি। সমন্বয় পরিষদের অনুষ্ঠানে সমন্বয় ছিল না। তবে তারা জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী। প্রশ্ন ছিল যে সালাউদ্দিনকে ঘিরে এত ক্ষোভ তার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া হলো না কেন? একজন উত্তর দিলেন প্যানেলে নেই তারপরও নিশ্চিত থাকেন আমরা কেউ সালাউদ্দিন ভাইকে ভোট দেব না।

ইশতেহার পাঠ করেন সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। তিনি বলেন, ২৪ দফা ইশতেহার চার বছরে পূরণ করা অসম্ভব। তবে জিতলে আমরা ফুটবলকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যাব। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেও তিনি পদত্যাগ করেননি কেন? মহির উত্তর পদত্যাগ করলে অনিয়মের প্রতিবাদ করতাম কীভাবে? আরেক সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মো. মারুফ হাসান জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মো. আসলাম বলেন, ‘অর্থ নয়, ভালোবাসা দিয়েই আমরা ভোটারদের মন জয় করবই, বিপ্লবের ডাক এসেছে পরিবর্তন হবেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর