শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পরে অন্য কিছু

আবদুল গাফফার

আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পরে অন্য কিছু

নিজে তো ফুটবলার ছিলাম, তাই দেশের জনপ্রিয় এ খেলার দুর্দশা মানতে পারছি না। ক্ষোভে এ নিয়ে অনেক কথা বলছি। লাভ নেই, দিনের পর দিন ফুটবল অবনতির দিকেই এগোচ্ছে। সত্যি বলতে কী, ভয় হয় ফুটবল বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে কিনা? কাজী সালাউদ্দিন ভাই শুধু গ্রেট ফুটবলার ছিলেন না। কোচ হিসেবেও সফল। ২০০৮ সালে তিনি যখন বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তখন আমি কেন, অনেকের মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল। ভেবে ছিলাম, প্রকৃত যোগ্য লোক যখন দায়িত্ব পেয়েছেন ফুটবলে উন্নয়ন ঘটবেই। তা ছাড়া সালাউদ্দিন ভাই বলে যত কথা। প্রথম মেয়াদ গেল, ভাবলাম চার বছরে কী আর করবেন। এর পর আরও দুই মেয়াদ। ১২ বছর অনেক সময়। অথচ উন্নয়নের বদলে এতটা অবনতি যে ভুটানের মতো দলের কাছে হেরেছি।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার বদলে সেমিফাইনাল খেলাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। যদি সাকসেস বলা হয়, ২০১০ সালে এসএ গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সোনা জয়। জাতীয় দল একবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনাল খেলেছে। অবশ্য নারী ফুটবলে অগ্রগতি ঘটেছে এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

ফুটবলের এই অবনতির জন্য অবশ্যই আমি শুধু সালাউদ্দিন ভাইকে দায়ী করব না। কমিটিতে যারা ছিলেন তারাই বা কী করেছেন? এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এখন আর এসব বলে লাভ নেই। ফুটবলে আজই নির্বাচন। ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও সালাউদ্দিন ভাই বন্ধু সালাম মুর্শেদী ছাড়া আগের কমিটির অনেকে নির্বাচন করেছেন। সালাউদ্দিন ভাই বলছেন তার অসম্পন্ন কাজ শেষ করতেই নির্বাচনে এসেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যিনি ১২ বছরে পারেননি তা চার বছরে শেষ করবেন কীভাবে? যাক এ নিয়ে বিতর্ক আর তুলতে চাই না। পুরান ও নতুন যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইল। তবে সম্মানিত ভোটারদের কাছে একটাই অনুরোধ রাখব, বুঝেশুনে রায় দিন। ফুটবল উন্নয়নে যোগ্যদের বেছে নিন।

সর্বশেষ খবর