রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মিরপুরে প্রস্তুতি ম্যাচে মুমিনুলের দাপুটে সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরে প্রস্তুতি ম্যাচে মুমিনুলের দাপুটে সেঞ্চুরি

শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ। গতকাল দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তার প্রমাণ দেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। অধিনায়ক মুমিনুলের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ মিথুনের হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৪৮ রান করে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক একাদশ। প্রথম দিন ওটিস গিবসন একাদশ করেছিল ২৩০ রান। ড্র হয়েছে ম্যাচটি। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। একটি দুদিনের এবং অপরটি তিনদিনের।

কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে হঠাৎই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ স্থগিত হয়েছে। সফরে তিন টেস্ট খেলার কথা ছিল মুমিনুল বাহিনীর। কিন্তু সিরিজ না হওয়ায় বিসিবি এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে মনোনিবেশ করছে। চলতি মাসেই একটি টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগীমূলক ক্রিকেটে ফিরছে ক্রিকেটাররা। নভেম্বরে প্রিমিয়ার ক্রিকেট। প্রতিযোগীমূলক ক্রিকেটে নামার আগে পুরোদমে অনুশীলন করছেন মুমিনুলরা। তারই ধারায় দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। গতকাল দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে কুক একাদশ। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক মুমিনুল ও মিথুন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১৫৩ রান। এর আগে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিককে ব্যক্তিগত ৩ রানে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান। শুরুতে সাদমান ইসলাম ও ইয়াসিরকে সাজঘরে ফের পাঠান এবাদত হোসেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলীয় স্কোর যখন ১৮৪ রান, তখনই অফ স্পিনার নাঈম আউট করেন মিথুনকে। ব্যক্তিগত ৬২ রানের ইনিংসটি খেলেন ১১৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায়। চাপের মুখে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে মুমিনুল খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস। ২২০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৪টি চার ও একটি ছক্কা। খেলা শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে মুমিনুল বলেন, ‘৬/৭ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। তাই শুরুতে টেনশনে ছিলাম। তবে এটা বলতে পারি ম্যাচ খেলে আমাদের পেসারদের ভালো হয়েছে। যারা রান করেছেন, তাদেরও ভালো হয়েছে। সত্যি বলতে আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলার আবহে খেলতে চেয়েছি।’  

 

স্কোর কার্ড

ওটিস গিবসন একাদশ

২৩০/১০, ৬৩.৪ ওভার ( সাইফ হাসান ৬৪, সৌম্য সরকার ৫১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪২। তাসকিন আহমেদ ৩/৪৪, তাইজুল ইসলাম ৩/৭০, মোহাম্মদ মিথুন ২/৫)।

 

রায়ান কুক একাদশ

২৪৫/৫, ৭৬ ওভার ( সাদমান ইসলাম ১৩, ইয়াসির আরাফাত ২, মুমিুনল হক ১১৭, মুশফিকুর রহিম ৩, মোহাম্মদ মিথুন ৬২, নুরুল হাসান সোহান ২৯, সাইফুদ্দিন ১০*, তাইজুল ৬*। এবাদত হোসেন ২/৩৪, মেহেদী হাসান ১/২১, নাঈম ১/৭৬, মাহমুদুল্লাহ ১/২১)। 

সর্বশেষ খবর