মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

তাসকিনের আগুনে বোলিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তাসকিনের আগুনে বোলিং

করোনাভাইরাসের সময় ফিটনেস ঠিক রাখতে বালুর মাঠে দৌড়েছেন তাসকিন আহমেদ। সেই কষ্ট কাজে লাগছে এখন। তার প্রমাণ প্রস্তুতি দুটি ম্যাচ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন ডান হাতি পেসার। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বৃষ্টি¯œাত আবহাওয়া কাজে লাগিয়ে গতির ঝড় তুলেছেন তিনি। তাসকিনের আগুনে বোলিংয়ের বিপক্ষে অসহায় ছিলেন সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইমরুল কায়েশ। তিনজনকেই সাজঘরে পাঠান। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তাসকিনের পাশাপাশি ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন ইমরুল ও সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সৌম্য সরকার। তাসকিনের পাশাপাশি রায়ান কুক একাদশের পক্ষে উজ্জ্বল ছিলেন অকেশনাল অফ স্পিনার মোহাম্মদ মিথুনও। তিনিও গতকাল ২ উইকেট নেন। আগের ম্যাচেও ভেলকি দেখিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ইমরুল ও মাহমুদুল্লাহর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে ওটিস গিবসনের সংগ্রহ ৭২ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান।

প্রস্তুতি ম্যাচটি বৃষ্টি বাধায় পড়েছে তিনবার। এজন্য খেলা হতে পারেনি ১৮ ওভার। অবশ্য সকালে নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক চলার পর প্রথমবার বন্ধ হয় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয়বার লাঞ্চের পর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল আধঘণ্টা। ৫০ ওভারের পর তৃতীয়বার ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল খেলা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খেলায় পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইফকে ব্যক্তিগত ৭ রানে সাজঘরে পাঠান ডান হাতি পেসার। নবম ওভারে গিবসন একাদশের অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে তৃতীয় স্লিপে ইয়াসিরের তালুবন্দী করেন তিনি। ৩২ রানে ২ উইকেটের পতনের পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন ইমরুল ও মাহমুদুল্লাহ। দুজনে যোগ করেন ৮০ রান। এর মধ্যে দলীয় ৩২ ওভারের পঞ্চম বলে ইমরুলের ফিরতি ক্যাচ ধরেন তাসকিন। ক্যাচটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন ইমরুল। তিনি জানান, বলটি মাটি স্পর্শ করেনি। কিন্তু দুই আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। তার আগে অবশ্য ৫৯ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস খেলেন বাঁ হাতি ইমরুল। আগের ম্যাচে ৭ রান করেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া মাহমুদুল্লাহ খুব ভালো করে জানেন পারফরম্যান্স করতে হবে। আগের ম্যাচে ৩৪ রান করা মাহমুদুল্লাহ গতকাল খেলেন ৫৬ রানের লড়াকু ইনিংস। সাইফ উদ্দিনকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ১১৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি ৪। লিটনকে নিয়ে টি-২০ অধিনায়ক চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৭ রান। ৬৬ বলে ৪৪ রান করেন লিটন। আগের ম্যাচে ৫১ রান করা সৌম্য করেন ২৬ রান। মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে।

আগের ম্যাচে শেষ দিকে ১১ বলের স্পেলে ৫ রানের খরচে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। গতকাল ১৮ বলের স্পেলে বোল্ড করেন নাঈম ইসলাম ও এবাদতকে। তাসকিন ১১ ওভারের স্পেলে ৪২ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন, তাইজুল ও আল-আমিন।

 

ওটিস গিবসন একাদশ

২৪৮/৫, ৭২ ওভার (সাইফ ৭, ইমরুল ৫৯, নাজমুল হোসেন ২, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৬, লিটন দাস ৪৪, সৌম্য সরকার ২৬, মোসাদ্দেক হোসেন ২৯*, নাঈম ইসলাম ৮, ইবাদত হোসেন ০, রুবেল হোসেন*।

তাসকিন আহমেদ ১১-২-৪৩-৩, সাইফুদ্দিন ১১-১-৪২-১, সৈয়দ খালেদ ১১-১-৩১-০, আল-আমিন

 ১০-৩-২৬-১, তাইজুল ইসলাম ২৬-৪-৭৬-১,

মোহাম্মদ মিথুন ৩-০-১০-২)।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর