শিরোনাম
শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিশ্ব স্কোয়াশ দিবস আজ

আশা নিয়ে স্কোয়াশের নবযাত্রা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.)

আশা নিয়ে স্কোয়াশের নবযাত্রা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্কোয়াশ দলের সঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক

১০ অক্টোবর। বিশ্ব স্কোয়াশ দিবস আজ। বাংলাদেশে খুবই সীমিত পরিসরে স্কোয়াশ খেলা হয়ে থাকে। তাই পৃষ্ঠপোষকতা ও সুযোগ-সুবিধাও অত্যন্ত সীমিত। তারপরও আমাদের খেলোয়াড় নিরলস প্রচেষ্টায় ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৬ সালের এসএ গেমসে পদক লাভ করেন। দেশের জন্য তারা সম্মান বয়ে আনেন।  আরও সাফল্যের জন্য দরকার অনেক বেশি পৃষ্ঠপোষকতা।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৮৩০ সালে ইংল্যান্ডের হ্যারো স্কুলে প্রথম স্কোয়াশ খেলা হয়। তারপর  ইংরেজদের হাত ধরে উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করে খেলাটি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ফেডারেশনের অধীনে ১৮৫টিরও বেশি দেশে খেলাটির ফেডারেশন আছে। বিশ্বে ২০ লাখেরও বেশি পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড় আছে।

বাংলাদেশের বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি ঢাকা ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, আমেরিকান ক্লাবসহ আরও কিছু ক্লাবে স্কোয়াশ খেলা হয়ে থাকে। খেলাটির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে সরকার ‘বাংলাদেশ স্কোয়াশ রেক্যাট ফেডারেশন’ গঠন করে। প্রতি বছর সীমিত পরিসরে কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলেও এখনো সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি।

আশার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি স্কোয়াশ ফেডারেশন খেলাটির মান প্রচার-প্রসার ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে গঠন করা হয়েছে কার্যনির্বাহী পরিষদ।  বিকেএসপিতেও স্কোয়াশকে একটি শাখা হিসেবে চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্কোয়াশ কোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

সব শেষে বলতে চাই, আমরা বাস্তবতার আলোকে পরিকল্পনাকে সমন্বিত করে স্কোয়াশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আগামী এসএ গেমসে হারানো পদক ও গৌরব উদ্ধার করতে চাই।

 লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ স্কোয়াশ রেক্যাট ফেডারেশন

সর্বশেষ খবর