শিরোনাম
রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নাদাল-জকোভিচের ৫৬ নম্বর

রাশেদুর রহমান

নাদাল-জকোভিচের ৫৬ নম্বর

একেকটা ম্যাচ যেন অসাধারণ এক উপন্যাসের চমৎকার একেকটা অধ্যায়। রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জকোভিচের লড়াই আগে ছিল রোমাঞ্চকর গল্পের মতো। কিন্তু সেই লড়াইয়ের ময়দান এতটাই বিস্তৃতি লাভ করেছে, তাকে এখন উপন্যাসের মতো বড় কলেবরেই কেবল ধারণ করা সম্ভব। আজ ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছেন স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদাল ও সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। টেনিস কোর্টের লড়াইয়ে দুজনের এটা ৫৬ নম্বর সাক্ষাৎ। উপন্যাসের ৫৬ নম্বর অধ্যায়!

ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর আগেই পুরুষ এককের শীর্ষ বাছাই সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ বন্ধু নাদালকে ফেবারিট মেনেছিলেন। বলেছিলেন, ফ্রেঞ্চ ওপেনে নাদালের সামনে অন্য সবাই নগণ্য হয়ে যায়। সত্যিই তো! যে নাদালকে কিছুদিন আগে রোম মাস্টার্সে হারিয়েছেন দিয়েগো শোয়ার্টজম্যান। সেই নাদালের কাছেই সরাসরি সেটে হেরে গেলেন তিনি সেমিফাইনালে। জকোভিচও কী কম ভুগেছেন এই টুর্নামেন্টে নাদালের কাছে! ফ্রেঞ্চ ওপেনে ২০০৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০০৭ সালে সেমিফাইনাল, ২০০৮ সালে সেমিফাইনাল, ২০১২ সালে ফাইনাল, ২০১৩ সালে সেমিফাইনাল ও ২০১৪ সালের ফাইনালে নাদালের কাছে পরাজিত হয়েছেন নাদাল। ২০১৫ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের বিপক্ষে জয় পেয়েছেন জকোভিচ। শেষবারের লড়াইয়ে জয়ের ধারাটা কী আজ ধরে রাখতে পারবেন সার্বিয়ান তারকা!

নাদাল-জকোভিচ সবমিলিয়ে এর আগে ৫৫ বার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে ২৯ বারই জিতেছেন জকোভিচ। ২৬বার জিতেছেন নাদাল। এই পরিসংখ্যানই বলছে, দুজনের লড়াই কতোটা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে!

আজ যেই জিতুক একটা ইতিহাস হবে। নাদাল জিতলে তিনি রজার ফেদেরারের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লাম ট্রফি (২০টি) জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করবেন। পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ ওপেনে শততম ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়বেন তিনি। অন্যদিকে জকোভিচ জিতলে গত ২৫ বছরে প্রথম টেনিস তারকা হিসেবে অন্তত দুটি করে সব গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের ইতিহাস গড়বেন। কে ইতিহাস গড়বেন আজ? নাদাল নাকি জকোভিচ?

চলতি বছর ৩৭ ম্যাচ জিতেছেন জকোভিচ। কেবল একটাতে পরাজিত হয়েছেন। তাও জাজের গায়ে বল ছুড়ে ডিফল্ট হওয়ায়! ৩৩ বছরের জকোভিচ ২২ বছরের স্টেফানোসকে হারিয়েছেন সেমিফাইনালে। অন্যদিকে ৩৪ বছরের নাদাল হারিয়েছেন শোয়ার্টজম্যানকে। দুজনেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। অবশ্য দুজনের গত ১৮ বারের সাক্ষাতে ১৪ বারই জিতেছেন জকোভিচ। এই দিক থেকে আজ হয়তো তিনিই এগিয়ে থাকবেন! অবশ্য ফাইনালের আগে জকোভিচ বলছেন, ‘এই সময়টা রাফার। জয়ের প্রেরণা আমারও আছে। ২০১৫ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে আমি তাকে হারিয়েছি। কিন্তু ক্লে কোর্টে নাদালের বিপক্ষে খেলা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ অন্যদিকে নাদালও বন্ধু জকোভিচের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। ‘নোভাক সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমিও নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। এমন পরিস্থিতিতেই আমি খেলতে পছন্দ করি।’ ১২ বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেছেন নাদাল। আরও একবার এই ট্রফি জিততে চান তিনি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ট্রফিতে আরও একবার চুমু খাওয়ার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে রাজি নাদাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর