সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মিরপুর ফের ক্রিকেটময়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুর ফের ক্রিকেটময়

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদসহ টাইগার ক্রিকেটাররা সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন প্রায় সাত মাস আগে গত ১৬ মার্চ। এরপর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য ঘরবন্দী হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। মার্চের পর ক্রিকেটাররা ক্রিকেটে ফিরতেন শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কান সরকারের অনড় অবস্থানে বিসিবি সিরিজ স্থগিত করে শেষ মুহূর্তে। ফলে ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্নটা অনেকটাই ভেস্তে যেতে বসেছিল। কিন্তু ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে মরিয়া বিসিবি আয়োজন করে তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ। অর্থের ঝনঝনানির টুর্নামেন্টটি শুরু হয়েছে গতকাল। সূচনা ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশ। ৪ উইকেটের সহজ জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল নাজমুল একাদশ।  এবং দলকে জয়ী করেন দুই তরুণ তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর ১০৫ রানের জুটি করে।  তৌহিদ ৫২ রানে সাজঘরে ফিরলেও ইরফান অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। আজ খেলা নেই।

বিপিএল ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এতো বড় অঙ্কের প্রাইজমানির দেখা মেলেনি। চ্যাম্পিয়ন দল ১৫ লাখ টাকা, রানার্স আপ সাড়ে ৭ লাখ টাকা পুরস্কার পাবে। কিন্তু বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে ৭ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় পাবেন ২ লাখ টাকা। ফাইনালে সেরা বোলার, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা ফিল্ডার পাবেন ১ লাখ টাকা করে। এছাড়া প্রতি ম্যাচে সেরা ক্রিকেটাররা ৫০ হাজার, ম্যাচসেরা ব্যাটসম্যান, ম্যাচসেরা বোলার, ম্যাচসেরা ফিল্ডার পাবেন ২৫ হাজার টাকা করে। অথচ টুর্নামেন্টটি লিস্ট ‘এ’ নয়। দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচসেরা ক্রিকেটার ২৫ হাজার টাকা করে। জাতীয় ক্রিকেটের সেরা ক্রিকেটার পেয়ে থাকেন ১ লাখ টাকা।

টুর্নামেন্টের সূচনা ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। তাসকিনের গতিতে বেসামাল হয়ে ২১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরেন নাঈম শেখ (৯), লিটন দাস (১১) ও মুমিনুল হক (০)। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৩ রান যোগ করেন ইমরুল কায়েশ ও মাহমুদুল্লাহ। দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ইমরুল সাজঘরে ফিরেছেন ৪০ রানের ইনিংস খেলে। ৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা। ইমরুলের বিদায়ের পর মাহমুদুল্লাহ চেষ্টা করেছেন সাব্বির ও নুরুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর বড় করতে। কিন্তু তাসকিন, আল-আমিন, মুকিদুর রহমান মুগ্ধ’র নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ ৪৭.৩ ওভারে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। সাব্বির ২২ রান করেন ২৫ বলে এবং নুরুল হাসান ১৪ রান করেন। প্রতিপক্ষের সব বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণকে প্রতিহত করে টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদুল্লাহ। খেলেন ৫১ রানের আলো ঝলমলে ইনিংস। ৮২ বলে ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। ছন্দে থাকা তাসকিন ১০ ওভারের স্পেলে ৩৭ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন আল আমিন ও মুগ্ধ। ১৯৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৫৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় নাজমুল একাদশ।

দীর্ঘ সাত মাস পর মিরপুর স্টেডিয়াম আবার ক্রিকেটময় হয়ে উঠল। আগেও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে। তবে এবার শুরু হলো আসল লড়াই। মিরপুরে ক্রিকেট ফেরায় সকলেই আনন্দিত। তবে গ্যালারিতে দর্শকের অনুপস্থিতিতে ক্রিকেট এখনো অপূর্ণই রয়ে গেল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর