কাজী সালাউদ্দিন এবার কঠোরভাবে ফুটবল পরিচালনা করবেন তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। টানা চতুর্থ বার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি অনেকটা হুমকির সুরেই বলেন, এবার আর ছাড় নয়। টানা দুবার লিগ আয়োজনে ব্যর্থ হলে ওই জেলার কাউন্সিলরশিপ বাতিল হবে। গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভাতেই বিভিন্ন সাব-কমিটি রদবদল করে সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন নতুন কমিটি কতটা শক্তভাবে দেশের ফুটবলে ভালো-মন্দ দেখবেন। আর সভাপতি নিজেই জেলাগুলোর পর্যবেক্ষণে দায়িত্ব নিয়েছেন। ২১ সদস্যের কমিটির ১৮ জনই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা দিয়েই শুরু হয়ে গেল ফুটবলে নতুন কমিটির নবযাত্রা। এর আগে নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। নির্বাহী কমিটির সভা শেষে মূলত সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে থাকেন। এবারও সালাম মুর্শেদী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম হচ্ছে এবার ব্রিফ করেছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে সভাপতি কথা বলতে গিয়ে বার বার আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ছিলেন। ‘ফুটবল খেলেই আমি পরিচিত লাভ করেছি। এ খেলা আমার রক্তে মিশে গেছে। সুতরাং যতই অপ্রচার চালাক না কেন কেউ বিশ্বাস করেননি আমি ফুটবল ধ্বংস করে দেব। ভোটাররা আমার ও আমার প্যানেলের ওপর আস্থা রেখেছে। ভোটাররা বিশ্বাস করে সালাউদ্দিন- সালামদের পক্ষেই ফুটবলে উন্নয়ন সম্ভব। এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। ১২ বছরে অনেক কাজ হয়েছে। এবার একটা অবস্থানে যেতে চাই।’
এবার নির্বাচনে বড় চমক ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। অভিষেক নির্বাচনেই তিনি সভাপতি পদে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন। ইমরুলকে করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীর ফুটবল লিগ কমিটি প্রধান। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়ে। অথচ এসব লিগ থেকেই প্রতিভার সন্ধান মিলে। ইমরুল দায়িত্ব পাওয়ায় অনেকে আশাবাদী এবার অচল চাকা সচল হবে। ইমরুল বলেন, ‘আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করব। আমার প্রথম কাজই হবে অচল লিগ সচল করা।’ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক পেয়েছেন ডেভেলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব। মানিক বলেন, ‘কথা নয় কাজেই প্রমাণ করব আমার দক্ষতা। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম ও ন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্বে কাজী নাবিল আহমেদকেই রাখা হয়েছে।