বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

১০৩ রানেই শেষ তামিমরা!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১০৩ রানেই শেষ তামিমরা!

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দুটি মেডেনও নিয়েছেন তিনি

বাইশগজে অসহায় তামিমরা। ৫০ ওভারের ম্যাচে মাত্র ২৩.১ ওভারেই গুটিয়ে গেল ইনিংস। মাত্র ১০৩ রানেই শেষ তামিম একাদশের ইনিংস। মাহমাদুল্লাহ একাদশের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও সুমন খান আগুন ঝরালেন বাইশগজে। দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররাও। অসাধারণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দুটি মেডেনও নিয়েছেন তিনি।

১০৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে জিতে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

তবে শুরুতেই তাদের ব্যাপক চাপে ফেলে দিয়েছিলেন তামিম একাদশের দুই পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় খাতায় কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান লিটন দাস, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ নাঈমকে ফিরিয়ে দেন। দলীয় ৩৯ রানে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। টার্গেট ছোট হলেও তখন লড়াই জমে উঠেছিল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক ৫২ বলে খেলেছেন ৩৬ রানের ইনিংস। বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৬টি। ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। মুমিনুল আউট হওয়ার পরও সোহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজেই জিতে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

প্রথম ম্যাচের মতো গতকালও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। খেলা বন্ধ ছিল পৌনে দুই মিনিট। উভয় ইনিংস থেকে ৩ ওভার করে কার্টেল করা হয়। ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। তামিমরা ইনিংসের অর্ধেক ওভারও বাইশগজে টিকতে পারেননি।

গতকাল আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল তামিম একাদশে দুই তামিমের ব্যাটিং জুটি। একপ্রান্তে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আরেকপ্রান্তে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। অভিজ্ঞ তামিম আউট হয়ে যান ম্যাচের শুরুতেই। ৮ বলে মাত্র ২ রান করে রুবেলের বলে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। তবে তানজিদ তামিম উইকেটে বেশ ঝড় তুলেছিলেন। মাত্র ১৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এটিই ছিল স্কোরবোর্ডে তামিম একাদশের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান এসেছে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে।

অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। জাতীয় দলের আরেক তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিনিয়রদের হতাশজনক পারফরম্যান্সে ১০৩ রানেই আটকে যায় দলীয় স্কোর।

দাপুটে বোলিং করে মাত্র ১৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। আরেক পেসার সুমন খানও ৩১ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের পাশাপাশি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও নিয়েছেন দুই উইকেট।

ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো মাঠে অভিষেক হয়নি তামিম ইকবালের। করোনার কারণে খেলাই যে বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। তাই জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট’স কাপ তামিমকে দারুণ এক সুযোগ এনে দিয়েছে। এখান থেকেই অধিনায়কত্বের অনুশীলনটা করতে পারবেন ড্যাসিং ওপেনার। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তার প্র্যাকটিসটা যে মোটেও ভালো হয়নি। নিজেও রান করতে পারেননি, দলের স্কোরও বড় হয়নি। প্রথম ম্যাচেই হারতে হলো তামিম একাদশকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর