শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বৃথা গেল মুশফিকের সেঞ্চুরি

মুশফিক ব্যক্তিগত ১০৩ রানে সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজকে স্কুপ করতে গিয়ে। তামিম একাদশের পক্ষে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রান করেন মেহেদি। বোলারদের পক্ষে মুস্তাফিজ ১৫ রানে ৩, শরীফুল ৩৪ রানে ৪ ও আল আমিন ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বৃথা গেল মুশফিকের সেঞ্চুরি

প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে জান বাজি রেখে লড়েছেন ব্যাটসম্যানরা। গতকাল রানে ফেরার দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে দিনের শুরুতে মেহেদি হাসান ও দ্বিতীয় সেশনে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা পাশ কাটিয়ে আলোকিত ব্যাটিং করে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় ঠাঁই দিয়েছেন মুশফিক। টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি করলেও জয় পায়নি তার দল। তামিম একাদশের কাছে ৪২ রানে হেরে গেছে নাজমুল একাদশ। ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের তিন দলই একটি করে জয় ও একটি করে হার নিয়ে সমানভাবে ছুটছে। ২৩ অক্টোবরের ফাইনাল খেলতে প্রতিটি দলেরই আরও একটি করে ম্যাচ বাকি। তামিম একাদশের ছুড়ে দেওয়া ২২২ রানের টার্গেটে ৪৫.৪ ওভারে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ। মুশফিক ব্যক্তিগত ১০৩ রানে সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজকে স্কুপ করতে গিয়ে। তামিম একাদশের পক্ষে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রান করেন মেহেদি। বোলারদের পক্ষে মুস্তাফিজ ১৫ রানে ৩, শরীফুল ৩৪ রানে ৪ ও আল আমিন ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। আগামীকাল একই সময়ে নাজমুল একাদশ ও মাহমুদুল্লাহ একাদশ মুখোমুখি হবে।

প্রথম ম্যাচে ১৯৬ রান করেছিল মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ৫৩ বল হাতে রেখে তা টপকে গিয়েছিল নাজমুল একাদশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের গতির কাছে অসহায় হয়ে মাত্র ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তামিম একাদশ। গতকালও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়েছিলেন তামিমরা। ১২৫ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। সেখান থেকে ৯ ও ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে টেনে তোলেন দুই টেল এন্ডার মেহেদি ও তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৮২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন মাত্র ৫৭ বলে। ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৪৯ নম্বর ওভারে সৌম্য সরকারকে ২টি ছক্কা ও ২টি চার মেরে ২০ রান তুলে নেন। নবম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। তাইজুল অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। টুর্নামেন্টে মেহেদির ইনিংসটি ৪ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫১, তওহিদ হৃদয় ৫২ ও ইরফান শুক্কুর ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জুনিয়র তামিম দুটি ৪ মেরে দারুণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এনামুল বিজয় ভালো খেলছিলেন। ব্যক্তিগত ১২ রানে তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন সৌম্য। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও গতকাল রান করেছেন তামিম ইকবাল। যদিও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি।

প্রথমবারের মতো ২০০ রান ছোঁয়া ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন আল আমিন ও তাসকিন। দুরন্ত ফর্মে থাকা তাসকিন ১০ ওভারের স্পেলে ৪১ রানের খরচে নিয়েছেন এনামুল বিজয়ের উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং করা আল আমিন ১০ ওভারের স্পেলে ৩ উইকেট নেন ৪৩ রানের খরচে। তবে দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করে সবাইকে পেছনে ফেলেন অফ স্পিনার নাইম হাসান। ওভারের স্পেলে ২৮ রানের খরচে নেন ২ উইকেট; যার একটি ছিল ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর