শিরোনাম
রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আফিফের ব্যাটে উড়ন্ত জয়

আবারও হার মাহমুদুল্লাহ একাদশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফিফের ব্যাটে উড়ন্ত জয়

আফিফ হোসেন ধ্রুব

দুর্ভাগ্য আফিফ হোসেন ধ্রুব’র। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে রান আউটের শিকার হন তরুণ ব্যাটসম্যান। নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ৯৮ রানে রান আউট হন ধ্রুব। সাজঘরে ফিরেন টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। কালও খেলেন হাফসেঞ্চুরির প্রত্যয়ী ইনিংস। সেঞ্চুরি না পেলেও দারুণ ব্যাটিং করেন বাঁ হাতি তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ। তার নার্ভাস ৯৮, মুশফিকের ৫২ ও ইরফান শুক্কুরের অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে ৫০ ওভারে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৪ রান। যা বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে দলগত সর্বোচ্চ। পরশু নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ২২১ রান করেছিল তামিম একাদশ। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচে দুইশোর্ধ্ব স্কোরের দেখা মিলেছে। প্রতিশোধের ম্যাচটি জেতা হয়নি মাহমুদুল্লাহ একাদশের। নাজমুল একাদশের কাছে হেরেছে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে। তিন দলের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয় তুলে ২৩ অক্টোবর ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে ফেলেছেন নাজমুলরা। ২৬৫ রানের টার্গেটে নেমে ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ।

উইকেটের আচরণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠেছিল ব্যাটসম্যানদের। উইকেটের চরিত্র পাল্টাতে চট্টগ্রাম থেকে তুলে আনে কিউরেটর প্রভীন হিমাঙ্গিকারকে। তিনি কাজ করার পরই রান উঠতে থাকে ম্যাচগুলোতে। গতকাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো দুইশোর্ধ্ব স্কোর উঠেছে টুর্নামেন্টে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করে নাজমুল একাদশ। অবশ্য মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে এটা তাদের ফিরতি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে অবশ্য ৫৩ বল হাতে রেখে মাহমুদুল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল নাজমুল একাদশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৮ ওভারে পারভেজ (১৯), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (৩) ও সৌম্য সরকার ফিরে যান। ৩৯ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর চতুর্র্থ উইকেট জুটিতে ১৩৭ রান যোগ করেন আফিফ ও মুশফিক। ৪২ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলে শর্ট মিড উইকেটে ঠেলেই দ্রুত রান নিতে আগ্রহী হন মুশফিক। সিনিয়রের কলে ক্রিজ ছেড়ে বেরুন আফিফ। মাঝপথে আসার পর হঠাৎ ‘নো’ কল মুশফিকের। আর ক্রিজে ফিরতে পারেননি আফিফ। মাহমুদুল্লাহ’র থ্রোয়ে রান আউট তিনি। ৯৮ রানের ইনিংসটি খেলেন ১০৮ বলে এক ছক্কা ও ২ চারে। আগের ম্যাচে ১০৩ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক গতকাল এবাদতকে স্কুপ করতে যেয়ে সাজঘরে ফিরেন ৫২ রানে। আশ্চর্য হলেও সত্য, মুশফিক তার ইনিংসে একটি মাত্র চার মেরেছেন। শেষ দিকে ইরফান শুক্কুর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলে দলের স্কোর ২৬৪ পৌঁছায়। ইরফান দ্রুতলয়ে ব্যাটিং করে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মাত্র ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায়। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ৫৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন শুক্কুর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর