মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রুবেল-ঝড় মিরপুরে

মাহমুদুল্লাহ একাদশের ৪ উইকেটে জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রুবেল-ঝড় মিরপুরে

তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল মাহমুদুল্লাহ একাদশ। তামিমদের দেওয়া ২২২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় মাহমুদুল্লাহরা। অধিনায়ক মাহদুল্লাহ নিজে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস। মাহমুদুল হাসান জয় করেছেন ৫৮ রান।

এই জয়ে চার ম্যাচে মাহমুদুল্লাহদের পয়েন্ট ৪। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নাজমুল একাদশ। তামিম একাদশের পয়েন্ট ২। পরের ম্যাচে তামিম একাদশ খেলবে নাজমুল একাদশের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচের পরই নির্ধারণ হবে কোন দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।ফাইনালের আশা জাগিয়ে রাখতে ‘জিততেই হবে’-এমন সমীকরণের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশের স্ট্রাইক বোলার রুবেল হোসেন জ্বলে উঠেন শুরুতে। আগুনে বোলিং করে গুঁড়িয়ে দেন তামিম একাদশের উপরের সারির ব্যাটিং লাইন। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে নিয়ে যান দুই তরুণ ইয়াসির আলি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনে ১১১ রানের জুটি গড়লে তামিম একাদশ শুরুর বিপর্যয় সামলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২১ রান করে। আগের দুই ম্যাচের মতো গতকালও ব্যর্থ ছিলেন টাইগার ওয়ানডে তামিম। রুবেলের গতির ঝড়কে সামলে নিয়ে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন ইয়াসির ও অঙ্কন। ইয়াসির ৬২ ও অঙ্কন ৫৭ রান করেন। শেষ দিকে মোসাদ্দেক সৈকত ৪০ ও সাইফ উদ্দিন ৩৮ রান করেন। আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে দুর্বার বোলিং করা রুবেলের স্পেল ছিল ১০-৩-৩৪-৪। ২২২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ একাদশের সংগ্রহ ১৮ ওভারে ২ উইকেটে ৮৬ রান। 

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে দুই দলের পরস্পরের দ্বিতীয় লড়াই। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ও টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ একাদশের প্রথম লড়াইয়ে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহরা। গতকাল দিবা-রাত্রির ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই রুবেলের গতিতে অসহায় হয়ে পড়েন তামিমরা। দুরন্ত ফর্মে থাকা ১৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরত পাঠান তানজিদ হাসান তামিম জুনিয়র (১), এনামুল হক বিজয় (১) ও মোহাম্মদ মিথুনকে (২)। তামিমকে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট করেন আবু হায়দার রনি। আগের তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা রুবেল গতকাল গতির ঝড় তুলেন। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে তিনি মাত্র ১০ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারের দ্বিতীয় স্পেলে একটু খরুচে ছিলেন। ২৪ রানের খরচে নেন হাফসেঞ্চুরিয়ান মাহিদুল অঙ্কনের উইকেট। ছন্দে থাকা রুবেল আগের তিন ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছিলেন। যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট পাননি। পরের দুই ম্যাচে উইকেট নেন ৩টি করে। তামিম একাদশের বিপক্ষে মাত্র ৫ ওভারের স্পেলে ১৬ রান ব্যয় করে নেন ৩ উইকেট। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে একটু বেশি খরুচে ছিলেন। ১০ ওভারের স্পেলে ৫৩ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে চার ম্যাচে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার রুবেল। ৩২ ওভারে মেডেন নিয়েছেন ৫টি, রান দিয়েছেন ১৩৪। উইকেট ১০টি। নবম ওভারের প্রথম বলে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর জুটি বাঁধেন ইয়াসির ও মাহিদুল। দলীয় ১২৮ রানে রান আউট হওয়ার আগে ইয়াসির ৮১ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৬২ রান। অবশ্য ব্যক্তিগত ২৫ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। রুবেলের চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাহিদুল ৫৭ রান করেন ১১০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে মোসাদ্দেক ৩৯ বলে ৪০ এবং সাইফ উদ্দিন ৩৮ রান করেন ৩৪ বলে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর