বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফাইনালে মাহমুদুল্লাহ-নাজমুল একাদশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফাইনালে মাহমুদুল্লাহ-নাজমুল একাদশ

সাইফুদ্দিন ৮.৩-১-২৬-৫

শুক্রবারের ফাইনাল খেলতে জিততেই হবে তামিম একাদশকে-মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকালের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির সমীকরণ ছিল এমন। মাহমুদুল্লাহ একাদশ চার ম্যাচে ২ জয় নিয়ে পেছন পেছন তাড়া করছে। তামিম বাহিনীর গতকালের প্রতিপক্ষ নাজমুল একাদশেরও জয় ছিল দুটি। জিততেই হবে-সমীকরণের ম্যাচটি জিততে পারেনি তামিম বাহিনী। ৭ রানে হেরে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। ৪ ম্যাচে তিন জয়ে নাজমুল একাদশ এবং ২ জয় নিয়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ শুক্রবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে। জানবাজির ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেও ফাইনাল খেলতে পারছেন না মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ টুর্নামেন্টে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব দেখান ডান হাতি পেসার। সাইফুদ্দিনের দিনে উজ্জ্বল ছিলেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানও। আলো ছড়িয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক মুশফিকুর রহিম। টানা তিন ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক। বৃষ্টি¯œাত দিনে ৪১ ওভারের কার্টেল ম্যাচে ৯ বল আগেই ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ। মুশফিক সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে বিধ্বংসী বোলিং করা সাইফের স্পেল ৮.৩-১-২৬-৫। কার্টেল ওভারের ম্যাচ বলে ডিএল মেথডে তামিমদের টার্গেট দেওয়া হয় ১৬৪ রান। তাসকিন আহমেদের (৪/৩৬) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪০.৪ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায়। ক্যাচ ধরতে যেয়ে কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। এতে ফাইনাল অনিশ্চিত তার।

দুই দলের প্রথম লড়াই জিতেছিল তামিম একাদশ। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো দুইশোর্ধ্ব (২২১) রান করে জয় তুলে নিয়েছিল ৪২ রানে। ম্যাচটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। টুর্নামেন্টের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন ১০৩ রানের ইনিংস। অবশ্য দেশসেরা ব্যাটসম্যান টুর্নামেন্ট শুরু করেন ১ রান করে। পরের ম্যাচে তামিম একাদশের বিপক্ষে ১০৩, তৃতীয় ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ৯৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। যাতে ছিল একটি মাত্র চার। গতকালের হেভিওয়েট ম্যাচে ডিপ স্কয়ার লেগে সাইফুদ্দিনের স্লোয়ারে পুল করে শরীফুলের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৭৫ বলে খেলেন ৫১ রানে ইনিংস। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১১৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব’র সঙ্গে জুটি বেঁধে যোগ করেন ৯০ রান। মুশফিকের আউটের পর ১৭ বল পর মেহেদি হাসানকে স্কুপ করতে যেয়ে বোল্ড হন আফিফ ব্যক্তিগত ৪০ রানে। আগের ম্যাচে আফিফ নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে আউট হন ৯৮ রানে। দুজনের জুটি যখন বড় স্কোরের দিকে যখন এগোচ্ছিল, তখনই নাজমুল একাদশের লেজ মুড়ে দেন সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজ। দুজনের দুর্দান্ত ইয়র্কারে নাজমুল একাদশ শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ১৯ রানে। ১৪৬ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পর পর নাজমুল বাহিনী অলআউট হয় ১৬৫ রানে।

টুর্নামেন্টে দারুণ বোলিং করছেন সাইফ। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে ৮ রানের খরচে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ রান ব্যয় করে নেন ২ উইকেট নিতে। মাহমুদুল্লাহ একাদশে বিপক্ষে ১০ ওভারের স্পেলে ৪৯ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। প্রথম তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া সাইফ গতকাল নেন ২৬ রানের খরচে ৫ উইকেট। ৪ ম্যাচে সাইফের উইকেট ১২টি। ১২৪ রান দেন ৩১.১ ওভারে। সাইফের মতো গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজও। গতকাল নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে তার উইকেট সংখ্যা ৮টি।

নাজমুল একাদশ

১৬৫/১০, ৩৯.৯ ওভার ( মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০। সাইফুদ্দিন ৫/২৬, মুস্তাফিজ ৩/৩৬, মেহেদি ২/৩৪।

তামিম একাদশ

১৫৬/১০, ৪০.৪ ওভার ( তামিম ৫৭, মিথুন ২৯, মাহাদি অঙ্কন ২২। তাসকিন ৪/৩৬, সৌম্য ১/৭।

ফল :  নাজমুল একাদশ ৭ রানে জয়ী।

সর্বশেষ খবর