শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাইশগজে পেসারদের ক্যারিশমা

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাইশগজে পেসারদের ক্যারিশমা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য প্রায় ৭ মাস প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল ক্রিকেটারদের। কিন্তু স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে যান তারা। অবশেষে বিসিবির বিশেষ আয়োজন তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ খেলে মাঠে ফিরেছেন মুশ্ফিক, তামিম, সাইফুদ্দিন, তাসকিন, মুস্তাফিজরা। করোনায় দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার প্রভাব পড়ে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের ওপর। কিন্তু বিন্দুমাত্র সমস্যার সৃষ্টি হয়নি পেসারদের। করোনাকালীন তাসকিন, রুবেল হোসেন, সৈয়দ খালেদ, মুস্তাফিজ, সাইফ, আল-আমিনরা ফিটনেস বাড়িয়ে নিয়েছেন অনুশীলন করে। টুর্নামেন্টের রবিন লিগে তাসকিন, মুস্তাফিজ, আল-আমিনদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। উন্নতির প্রশংসা করেই থেমে ছিলেন না টাইগার কোচ ডমিঙ্গা, কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয় হঠাৎ। ফলে জাতীয় দলের ২৭ জনসহ মোট ৪৫ ক্রিকেটার নিয়ে তিন দলের টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিসিবি। মুশ্ফিক ছাড়া জাতীয় দলের আর কোনো ক্রিকেটারই সাবলীল ছিলেন না বোলারদের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরিটিও তার (১০৩)। এ ছাড়া দুটি হাফসেঞ্চুরিও করেছেন। আফিফ খেলেছেন নার্ভাস ৯৮ রানের ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেন দুটি ম্যাচ জেতানো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। ব্যর্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েশ, এনামুল হক বিজয়, নাইম শেখ, সৌম্য সরকার, লিটন দাসরা। ব্যাটসম্যানদের মতো অবশ্য জাতীয় দলের তিন স্পিনার নাইম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজরা আলো ছড়াতে পারেননি। তবে নতুন বলে এবং পুরনো বলে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। একমাত্র বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়েছেন এক ম্যাচে। ৪ ম্যাচে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও ব্লক হোলে বল করে রেখে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। ৩১.১ ওভার বল করে তিনি ১২ উইকেট নিয়েছেন ১২৪ রানের খরচে। সেরা বোলিং ২৬ রানে ৫ উইকেট। ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৩.৯৭। গতি ও সুইংয়ের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে দারুণ বোলিং করেছেন রুবেলও। ৪ ম্যাচে তার উইকেট ১০টি। সেরা বোলিং ৩৪ রানে ৪ উইকেট। ওভারপ্রতি স্ট্রাইক রেট ৪.১৮। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ ধারাবাহিক বোলিং করেছেন। ৮ উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৩.৫৭। সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন আল-আমিন। ৪ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৭টি। কিন্তু ওভারপ্রতি রান খরচ ৩.৫৫। তাসকিন গতির ঝড় তুলে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলেছেন। তার গতি ও বাউন্সের কাছে অসহায় ছিলেন ব্যাটসম্যনরা। ইবাদতও ভালো বোলিং করেছেন। স্পিনারদের মধ্যে আলো ছড়িয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। দুই ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। তাইজুল ইসলাম ও নাইম শেখ ৩টি করে এবং ২ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। পেসারদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে কোচ ডমিঙ্গো বলেন. ‘গত ছয় সপ্তাহে ছেলেরা যে পরিশ্রম করেছেন, সেটা প্রশংসারও ঊর্ধ্বে। তাসকিনের ফিটনেস, রুবেল, খালেদ, সাইফ, মুস্তাফিজরা দারুণ বোলিং করেছেন। বোলাররা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন অনেক। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের স্কিল নিয়ে কাজ করতে। তারা উন্নতিও করেছে।’

সর্বশেষ খবর