বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

‘নেপালকে হারিয়ে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখতে চাই’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এমন বিরক্তিকর ও অলস সময় খুবই কম কেটেছে ফুটবলারদের। মৌসুম শুরু হওয়ার পরও তা বাতিল হয়ে যায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে। প্রায় দীর্ঘ ৯ মাস ফুটবলাররা মাঠের বাইরে। এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কি হতে পারে? সান্ত্বনা এতটুকুই করোনায় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন থমকে গেছে। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন তপু, আশরাফুল, জীবনরা মাঠে নামতে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই বাংলাদেশ জাতীয় দল মুখোমুখি হবে নেপালের বিপক্ষে। ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা স্বীকৃত দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার কথা। ফুটবলারদের ফেরার কথা ছিল ঘরোয়া আসর দিয়েই। কিন্তু বাফুফে নেপালের সঙ্গে কথা বলে প্রীতিম্যাচের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

জাতীয় দলের খেলা দিয়েই ফুটবল মাঠে ফিরছে। প্রীতিম্যাচের তেমন একটা গুরুত্ব না হলেও বাংলাদেশের কাছে তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায় এ এক অগ্নিপরীক্ষা। প্রতিপক্ষ নেপাল এক সময় বাংলাদেশের কাছে পাত্তা না পেলেও এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালেই ঢাকাতেই সাফ চ্যাম্পিয়শিপে তারা ০-২ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। আর এতেই স্বাগতিক হয়েও টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি জামালরা। সেই লজ্জা আজও বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রীতিম্যাচের সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তুলনা চলে না। তবুও সুযোগ এসেছে প্রতিশোধ নেওয়ার।

পারবে কি বাংলাদেশ? আশরাফুল ইসলাম রানা জানান, ‘নেপাল অবশ্যই শক্তিশালী দল। র‌্যাঙ্কিংও তারা এগিয়ে। তারপরও তাদেরকে হারানো সম্ভব। অনুশীলনে আমরা ঝালিয়ে নিচ্ছি। দীর্ঘসময়ে মাঠে না থাকায় ফিটনেসের একটু-আধটু ঘাটতি থাকবে। তবে ম্যাচের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে। নেপালকে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ নাবীব নেওয়াজের কথা, এ লড়াই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবার লড়াই। ম্যাচের এখনো সময় আছে। কোচ জেমি ডে এলে ভুলত্রুটিগুলো ভালোমতো শুধরিয়ে নিতে পারবেন। বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা গতকালই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। আজ কুপার টেস্ট করেই অনুশীলনে ফিরবেন। তাদের আগমনেই ক্যাম্প পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ৯ মাস পর ফুটবল ফিরছে এক চ্যালেঞ্জ নিয়েই।

সর্বশেষ খবর