বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সিনিয়রদের ওপরই আস্থা জেমির

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিনিয়রদের ওপরই আস্থা জেমির

১৩ ও ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে লড়বে। প্রায় আট মাস পর ফুটবলাররা মাঠে ফিরবেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চরিয়ে। মার্চ মাসে পেশাদার ফুটবল লিগ বন্ধ হওয়ার পর জামাল, তপু, আশরাফুলদের মাঠে নামা হয়নি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও বসুন্ধরা কিংসের এএফসি ক্লাব কাপে খেলার কথা থাকলেও দুটো টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যায়। অলস সময় কাটাতে হয় ফুটবলারদের। অবশ্য কিংস তাদের অনুশীলন ক্যাম্প চালিয়ে গেছে। নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ২৪ অক্টোবর থেকে অনুশীলনে নেমেছে। শুরুতে হেড কোচ না থাকলেও এখন জেমি ডের তত্ত্বাবধানেই ক্যাম্প চলছে।

প্রাথমিক স্কোয়াডে ৩৬ জন ফুটবলারকে ডাকা হয়। তবে ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় মাসুক মিঞা জনি ও মতিন মিঞাকে ক্যাম্পে পাঠায়নি বসুন্ধরা কিংস। বাফুফের অনুমতি নিয়েই কিংস ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্তটি নেয়। ৩৪ জনই এখন অনুশীলনে ব্যস্ত। জেমি তার শিষ্যদের ভালো করে যাচাই করে দেখছেন। হাতে সময় থাকায় আরও কিছুদিন সবাইকে ক্যাম্পে রাখতে চান জেমি। ১০ নভেম্বরের আগেই চূড়ান্ত দল ঘোষণা হতে পারে। সহকারী কোচের ফিটনেস রিপোর্ট ও জেমির অনুশীলন পর্যবেক্ষণে সিনিয়র খেলোয়াড়দের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ প্রীতিম্যাচে জাতীয় দলে বড় পরিবর্তন আসছে না। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম লেগে যারা খেলেছেন মূলত নেপালের বিপক্ষে তাদেরই দেখার সম্ভবনা বেশি। নতুন হিসেবে বড় জোর তিনজন মূল স্কোয়াডে থাকতে পারেন।

নতুনদের মধ্যে তারিক কাজীকে ঘিরেই যত আগ্রহ। জামাল ভূঁঁইয়ার পর তারিক হবেন দ্বিতীয় প্রবাসী ফুটবলার যিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন। কোচ জেমি অবশ্য মতিন মিঞাকে মিস করছেন। ও থাকলে আক্রমণভাগের শক্তিটা বাড়ত। জেমি অনুশীলনে সিনিয়রদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে ফেরা জাতীয় দলে  চমক থাকার সম্ভবনাক্ষীণ। প্রীতি হলেও ম্যাচটিকে জেমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। জামাল ভূঁইয়াও বলেছেন জয়ের জন্য তারা ক্ষুধার্ত। নেপালকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান তিনি। যা পরবর্তীতে কাজে আসবে।

সর্বশেষ খবর