সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানছে ক্লাবগুলো

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানছে ক্লাবগুলো

জাতীয় দলের খেলার মাধ্যমে ফুটবল মাঠে ফিরছে। আরও সুখবর হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে ঘরোয়া আসর মাঠে গড়াচ্ছে। দেশসেরা আসর পেশাদার লিগের পর্দা উঠবে জানুয়ারিতে। ফুটবলার ও ক্লাবগুলোর সমঝোতায় এবার যে যার দলে থাকছেন। অবশ্য ইচ্ছা করলে পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হওয়ায় খেলোয়াড় ছেড়ে দিতে পারে। তাই দেড় মাসব্যাপী দল-বদল চললেও তাতে কোনো উত্তেজনা থাকছে না। যত আগ্রহ বিদেশিদের ঘিরেই। চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস মানসম্পন্ন চারজন বিদেশি জোগারও করে ফেলেছে। তিনজন ইতিমধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। আরেকজন যে কোনো দিন উড়ে আসতে পারেন। শুধু তাই নয়, দেশের এ জনপ্রিয় ক্লাবটি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দুই মাস ধরে অনুশীলনও করেছে। জাতীয় দলের সামনে ম্যাচের জন্য আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে যারা জাতীয় দলে প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাননি তারা নিজ উদ্যোগ ঝালাই করে নিচ্ছেন।

মোহামেডান, আরামবাগ, সাইফ স্পোর্টিংও অনুশীলনে নেমে পড়েছে। অন্যরাও অপেক্ষায় রয়েছে। কথা হচ্ছে করোনাভাইরাসে ক্লাবগুলো কতটা ঝুঁকিমুক্ত। ফুটবলার সংগ্রহে লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও ঢাকার ক্লাবের পরিবেশের কথা কারোর অজানা নয়। করোনায় পরিবেশ বড় একটা ফ্যাক্টর। অধিকাংশ ক্লাবে ছোট এক রুমে ৪/৫টি খাট থাকে। অর্থাৎ এক রুমেই ৪/৫ জন করে ফুটবলার থাকছেন। ডাইনিং রুমেও বেহাল দশা। টেবিল-চেয়ারের ওপর তেলাপোকা, টিকটিকি ও ইঁদুর যেন স্থায়ী আবাস গড়েছে। রান্নাঘর কবে যে ধোয়া-মোছা করেছে বলা মুশকিল।

প্রয়োজনের সময় খেলোয়াড়রা টয়লেটে যাবেন তাও উপায় নেই। ৩০/৪০ জন খেলোয়াড় থাকে অথচ বাথরুম খুঁজে পাওয়া যাবে হাতে গোনা পাঁচ কিংবা ছয়টি। রুমগুলো ঠিকমতো ঝাড়– দেওয়া ও মোছা হয় কিনা সন্দেহ রয়েছে। এমন পরিবেশে যদি খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে থাকেন তাহলে করোনার সময়ে তারা কতটা ঝুঁকিতে থাকবেন তা কি বুঝিয়ে বলার দরকার আছে? অবশ্য সব ক্লাবেরই অবস্থা এক নয়। আধুনিক ব্যবস্থার কিছু ক্লাবের ক্যাম্প চলে। তারা বিদেশির জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করে। অনেক ক্লাবেরই সামর্থ্য নেই বলে ক্লাবেই রাখা হয়। অবশ্য অনেক বিদেশি আবার রাতে থাকেনও না। বিশেষ করে আফ্রিকান ফুটবলাররা অনুশীলন করেই অন্য কোথাও চলে যান। এরা কোথায় যান রাতে কি করেন কয়টি ক্লাব আর খবর রাখে?

আরামবাগ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাবে খেলোয়াড়দের রাখা হবে। রহমতগঞ্জের ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ বলেন, আমরা ভালো মতো ক্লাব ধোঁয়া-মোছা করেছি। তবে করোনা হবেই না এমন গ্যারান্টি তো দেওয়া যায় না।

বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফুটবল চলবে। এখানে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না। ভালো কথা, কিন্তু যারা মাঠে খেলবেন তাদের থাকা, খাওয়া সবকিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা এটার তদারকি করার দরকার কি নেই?

 

সর্বশেষ খবর