বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রীতি ম্যাচে বিশ্বকাপের ভাবনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে। কিন্তু এ ম্যাচ ঘিরে কাতারকে নিয়েও ভাবতে হচ্ছে জেমি ডের শিষ্যদের। শিডিউল অনুযায়ী অনেক আগেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হয়ে যেত। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা হতে পারেনি। অক্টোবরে দ্বিতীয় লেগের পর্দা ওঠার কথা ছিল। তাও স্থগিত হয়ে যায় করোনায়। বাংলাদেশের গ্রুপে কাতার, ওমান, আফগানিস্তান ও ভারত। ফিফা এখনো ঘোষণা দেয়নি দ্বিতীয় লেগ

কবে হবে। কাতার ফুটবল ফেডারেশন নিজে থেকেই চাচ্ছে ডিসেম্বরের শুরুতেই দোহায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে। দেশটি আবার ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছে যেহেতু দোহায় বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। তাই এটাকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেরই ম্যাচ ঘোষণা করতে।

ফিফা এখনো চূড়ান্তভাবে কাতারকে কিছুই জানায়নি। তবে কাতারের আবেদনটি গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি। ডিসেম্বরে ৪ কিংবা ৭ তারিখে ম্যাচটি হতে পারে। ২০২২ সালে কাতারেই বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্তপর্ব হবে। সুতরাং বিশ্ব ফুটবল অভিভাবক সংস্থার কাছে কাতারের গুরুত্ব অনেক। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, দোহায় ম্যাচের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ম্যাচটি হবে তা ধরেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল এ নিয়ে কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠক হয়েছে। ম্যাচ হলে ১২ দিন আগেই বাংলাদেশ উড়ে যাবে। কাতার স্থানীয় কোনো

দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চায়। কাতার নাকি ১টিতে রাজি হয়েছে।

নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ঝালিয়ে নেওয়া। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় পারফরম্যান্স ও ফিটনেসের ঘাটতি রয়েছে। বাফুফে চাচ্ছিল দুই ম্যাচ দিয়েই জামাল-তপুদের ঝালিয়ে নেওয়া। ঢাকায় এসে কোচ জেমি ডে শিষ্যদের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। যত সময় যাচ্ছে তার ভয়টা কেটে যাচ্ছে। চিন্তা যখন নেপাল। তখন আবার নতুন করে যোগ হলো কাতার। জেমি ডে অবশ্য এ নিয়ে বিচলিত নন। তার কথা ‘ছেলেরা দীর্ঘদিন পর ফুটবলে ফিরছে বলে উজ্জীবিত। নতুন প্রাণের সঞ্চার

হয়েছে। এ অবস্থায় কাতারের বিপক্ষে খেললে ছেলেরা ভালো খেলারই সম্ভবানা বেশি।’

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটির গুরুত্ব বেড়ে গেছে নানা কারণে। একে তো অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের দেখা নেই। তারপর আবার প্রতিপক্ষ নেপাল। ২০১৮ সালে যাদের কাছে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়শিপে নকআউটপর্ব থেকেই আউট। তা ছাড়া কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি যদি হয় তার আগে বাংলাদেশ কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতেও পারবে না। হাতে সময়ও নেই। জিতে গেলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাতার উড়ে যেতে পারবে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না জিতলেও দারুণ খেলছে। সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে তাতে সাবেক তারকা ফুটবলারও বলতে বাধ্য হয়েছেন। গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের এটাই সেরা ম্যাচ। আজ নেপালের বিপক্ষে জাতীয় দলের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা হতে পারে। আর এ দলই মূলত কাতারের বিপক্ষে খেলবে। জেমি ডের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। দোহায় যাওয়ার আগে ভুল শোধরানোর শেষ সুযোগই দুটি ম্যাচ।

সর্বশেষ খবর