শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আনন্দ বেদনার স্মৃতি নেপালের বিপক্ষে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কি ট্র্যাজেডি! ১৯৮৪ সালে সাফ গেমস ফুটবলে রাউন্ড রবীন লিগে ৫-০  গোলে  নেপালের বিপক্ষে জয় পেলেও ফাইনালে কি না তাদের কাছেই ২-৪ গোলে হেরে সোনা জিততে পারল না বাংলাদেশ। কেন এই বিপর্যয় এ ব্যাপারে গেমসে জাতীয় দলে খেলা চুন্নুর কাছে জানতে চাওয়া হয়। চুন্নু প্রথম ম্যাচে ২ ও ফাইনালে বাংলাদেশের হয়ে সান্ত্বনা সূচক ২ গোল করেন। তিনি বলেন প্রথম ম্যাচটি সম্ভবত কাঠমান্ডু পুলিশ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ফাইনালটি হয় দশরথ স্টেডিয়ামে। সেদিন কাঠমান্ডুতে প্রচ- বৃষ্টি হয়। মাঠে নেমে দেখি বুট আমাদের ডুবে যাচ্ছে। আমরা আপত্তি জানালাম এমন অনুপযুক্ত মাঠে খেলা সম্ভব নয়। মাঠ কর্মীরা পানি ভরা মাঠে ছোট ছোট পাথরের টুকরা ছিটাল। এতে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে মাঠ। আমরা দাঁড়াতেই পারছিলাম না বার বার পড়ে যাচ্ছি। এ অবস্থায় নেপাল ৪-২ গোলে জিতে গেল। আর আমরা দুটি গোল হজম করি আত্মঘাতীতে। তীরে এসেও আমাদের তরী ডুবে গেল।

এই কাঠমান্ডুতেই ১৫ বছর পর বেদনা আনন্দে রূপ নেয়। ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে ফাইনালে বাংলাদেশ-নেপাল মুখোমুখি হয়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আলফাজ আহমেদের গোলে বাংলাদেশ জিতে স্বপ্নের সোনা ঘরে তুলে। আলফাজ বলেন, ‘জীবনে অনেক গোল করেছি কিন্তু ১৯৯৯ সালের ফাইনালেরটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

সর্বশেষ খবর