শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাঠে ফেরার আনন্দ

ছাইদ হাছান কানন

মাঠে ফেরার আনন্দ

খেলোয়াড়রা যখন খেলা ছাড়া বসে থাকেন এ কষ্টের উপলব্ধি তারা ছাড়া কেউ বোঝেন না। আমি যখন খেলতাম দেশে তখন ফুটবলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কোনো কারণে লিগ শুরু হতে দেরি হলে কী যে কষ্টে থাকতাম তা আমিই জানি। মনে হতো বন্দী জীবন কাটাচ্ছি। ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছি অনেক আগেই। তারপরও গতকাল বাংলাদেশ যখন নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামল মনে

হলো বুকের ওপর থেকে বড় পাথর সরে গেল। কারণ অনেক দিন পর ফুটবলাররা খেলায় ফিরেছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকে অচল করে দিয়েছে। চারদিকে শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবে খেলা-ধুলাও বন্ধ ছিল। আমাদের ফুটবলাররা মার্চে পেশাদার লিগ বন্ধ হওয়ার পর মাঠে নামারই সুযোগ পাননি। জাতীয় দল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় লেগ ও বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের খেলার কথা থাকলেও দুটি টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ সময়ে বসে থাকায় ফিটনেস তো আছেই, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন খেলোয়াড়রা। বাফুফেকে ধন্যবাদ দিতে হয় কঠিন সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করায়।

সাত মাস পর জাতীয় দলের খেলা দিয়ে জামাল, তপুরা মাঠে ফিরলেন।

ওদের হাসি মুখ দেখে মনে হচ্ছিল সবেমাত্র বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেলেন। মাঠে ফেরার অনুভূতিই অন্যরকম। আমার বিশ্বাস বাফুফে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফুটবলকে সচল রাখবে। না হলে ক্ষতিটা হবে ফুটবলারদেরই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর