রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জামালদের খেলা দেখে মুগ্ধ, অভিভূত

আমি বলব এখনকার ন্যাশনাল টিম যে কোনো সময়ের চেয়ে গতিময়। কোচের নির্দেশ ও পজিশন বুঝে খেলতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে দীর্ঘদিন অনেকে একসঙ্গে খেলছে। এদের যদি আরও কয়েক বছর ধরে রাখা যায় আমার মনে হয় ফুটবলে বাংলাদেশ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবে

জামালদের খেলা দেখে মুগ্ধ, অভিভূত

সত্যিই আমি মুগ্ধ, অভিভূত। এক কথায় বলব অসাধারণ। দীর্ঘ আট মাস ফুটবলাররা বসেছিলেন। পারফরম্যান্স ও ফিটনেস স্বাভাবিকভাবে ঠিক থাকার কথা নয়। কিন্তু অবাক করল জামালরা। এতদিন পর মাঠে নেমে ওদের দেখে মনেই হয়নি যে বসে অলস সময় কাটিয়েছে। ওরা জয়ের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। সেটা তারা মাঠে প্রমাণ করেছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপাল ততটা শক্তিশালী দল নয়। তবু গত কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের জয়টা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। ২০১৮ সালে ঢাকার মাঠেই তাদের কাছে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিতে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

পুরো টিম জ্বলে উঠেছিল বলেই ২-০ গোলে বিজয় সম্ভব হয়েছে। ফুটবল ঘিরে অনেক সমালোচনা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব এখনকার ন্যাশনাল টিম যে কোনো সময়ের চেয়ে গতিময়। কোচের নির্দেশ ও পজিশন বুঝে খেলতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে দীর্ঘদিন অনেকে একসঙ্গে খেলছে। এদের যদি আরও কয়েক বছর ধরে রাখা যায় আমার মনে হয় ফুটবলে বাংলাদেশ একটা ভালো জায়গায় যেতে পারবে।

নেপালের বিপক্ষে পুরো দল উজ্জীবিত ছিল। তবে কয়েক জনের কথা না বললেই নয়। মানিক মোল্লা ছিল অসাধারণ। নতুন এসে সুমন আস্থার পরিচয় দিয়েছে। যত সময় যাবে তাকে আরও গতিময় দেখা যাবে। জীবনের প্রশংসা করতেই হয়। ওর গোলটা শুধু অপূর্ব বলব না আমার দেখা সেরা গোলের একটি। গোল পোস্টে জিকো অভিষেক ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলে তার প্রয়োজনীয়তা। ১৭ নভেম্বর ম্যাচটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠার ব্যাপারও জড়িয়ে আছে।

প্রথম ম্যাচ জিতলেও রক্ষণভাগের দুর্বলতা চোখে পড়েছে। যদিও জিকোর দৃঢ়তায় গোল হয়নি। তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর