দিল্লি এশিয়ান গেমস
১৯৭৮ থেকে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবলে অংশ নেয়। সেবার কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি। ১৯৮২ সালে দিল্লিতে নবম এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ চমক দেখায়। গ্রুপপর্বে শক্তিশালী মালয়েশিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। বাদল রায়ের চমৎকার গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ায় গ্যালারি উল্লাসে মেতে উঠে। আরেকটি গোল আশিষ ভদ্র।
দেশের বাইরে প্রথম শিরোপা
১৯৯৫ সাল বাংলাদেশের ফুটবলে স্মরণীয় বছর। সেবার মোনেম
মুন্নার নেতৃত্বে মিয়ানমারে চার জাতি চ্যালেঞ্জ কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ফাইনালে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে দেশের বাইরে প্রথম শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। ইমতিয়াজ হোসেন নকিব ও মামুন জোয়ার্দ্দার ফাইনালে দুটি গোল করেন।
ভারতের বিপক্ষে সেই জয়
জুয়েল রানার নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের জায়গা করে নেয়। গ্রুপপর্বের ম্যাচে ভারত ৪-০ গোলে হারিয়ে ছিল নেপালকে। তাই ধারণা ছিল বাংলাদেশ ফাইনালে উঠতে পারবে না। কিন্তু শাহজাদা টিপু মধ্যমাঠ থেকে অসাধরণ গোল জুয়েলেদের ফাইনালে নিয়ে যায়।
স্বপ্নের সোনা জয়
বার বার তীরে এসে তরী ডুবে যাচ্ছিল। সেই হতাশা কাটিয়ে অবশেষে স্বপ্নের সোনার দেখা পেল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ যখন ড্র-এর দিকে এগুচ্ছিল তখনি আলফাজ আহমেদ গোল করেন। এই গোলেই প্রথম বারের মতো গেমসে সোনা জিতে বাংলাদেশ।
সাফ-এ সেরা বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ফুটবলে সেরা প্রাপ্তিই বলা যায়। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেবার সাফ চ্যাম্পিয়শিপে বাংলাদেশ প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনালে মালদ্বীপকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারায় লাল-সবুজের দল। নির্ধারিত সময় কাঞ্চনের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। পরে মালদ্বীপ সমতায় ফেরালে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।