শিরোনাম
রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

লড়াইয়ের আগে লড়াই!

কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কাতারে কি করবে বাংলাদেশ? ঢাকা ছাড়ার সময় অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলে গেছেন ভালো কিছু করতে চাই। ভালোটা যে কি তা তিনি ভেঙে বলেননি। বলার কথাও নয়। কারণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারকে হারাবে সে কথা বলার সাহস নেই। তাই যা সম্ভব নয় তা বলে যাননি জামাল। ভালো খেলব বলেছেন, সেটা ড্রও হতে পারে কিংবা লড়াই করে হারাও হতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে কাতারে নামার আগে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশতো সিরিজ জিতেছে। যে নেপালের কাছে পাত্তাই পাচ্ছিল না তাদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাও আবার আট মাস মাঠের বাইরে থেকে। একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে সবার মধ্যে। জামাল কিন্তু সেটাও বলে যাননি। কারণ নেপালের সঙ্গে কাতারের শক্তি মেলানো যাবে না।

সত্যি বলতে কি কাতারের বিপক্ষে লড়তে জামালরা প্রস্তুতই ছিল না। অক্টোবরে ফিফা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব স্থগিত করার পর ধারণা ছিল ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। কিন্তু কাতার ডিসেম্বরে ম্যাচ খেলতে ফিফার কাছে আবেদন জানায়। ফিফা রাজি হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর দোহায় সেই ম্যাচ হতে যাচ্ছে। বাফুফে যদি না করত তাহলে ম্যাচ আর হতো না। বাংলাদেশ চিন্তা করেছে ফেব্রুয়ারিতেও যদি খেলি লাভ কি হতো। বরং তার আগে কাতারের সঙ্গে খেললে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়া যাবে। যা কাজে আসবে ঘরের মাঠে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কেননা বিশ্বকাপের বড় টার্গেটতো অ্যাওয়ে ম্যাচে ভারত ও আফগানিস্তানকে হারানো। এতে করে পরবর্তী রাউন্ডে না গেলেও ছোট মিশনতো সাকসেস হবে।

কাতারকে এতটা ভয় কেন? প্রথম লেগে ঢাকার মাঠে হারলেও কাতারের ঘামতো বের করে ছাড়েন জামালরা। তাছাড়া ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দল কাতারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নকআউটপর্ব খেলে। ঢাকায় ভালো খেলা, নেপালের বিপক্ষে সিরিজ জয় ও এশিয়ান গেমসে সাফল্য। এসব কি ৪ ডিসেম্বরের ম্যাচে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে না। সত্যি বলতে কি জামালরা এখন এমন অবস্থায় আছে যেন নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে লড়ছে। ঢাকা ছাড়ার আগে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম মানিক ও নাবিব নেওয়াজ জীবন। কাতারে পৌঁছে আইসোলেশনে আছেন দলীয় ম্যানেজার আমের খান ও ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদার।

বাংলাদেশ সম্ভবত আজ থেকেই অনুশীলনে নামবে। ২৫ ও ২৮ নভেম্বর দোহায় দুটি প্রীতিম্যাচ। বাফুফে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি প্রতিপক্ষ কারা। তবে বাংলাদেশ এনিয়ে ততটা চিন্তিত নয়। বড় ভয় করোনাভাইরাস নিয়ে। কারণ ৪ ডিসেম্বর ম্যাচের আগে আরও দুবার করোনা পরীক্ষা হবে ফুটবলারদের। হেড কোচ জেমি ডেসহ পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত। এখন নতুন করে কেউ যে পজিটিভ শনাক্ত হবেন না তা কি বলা যায়। এ যেন লড়ায়ের আগে আরেক লড়াই জামালদের।  বাংলাদেশের আর কোনো ফুটবলার আক্রান্ত হলে যতটা আত্মবিশ্বাস ছিল তাও শেষ হয়ে যাবে।

ভারপ্রাপ্ত কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস তো বলেই দিয়েছেন লড়াইয়ের আগে আমাদের লড়তে হচ্ছে। এটাই ফুটবল, সবকিছু মেনে নিয়ে আমাদের খেলতে হবে। যতটুকু শক্তি আছে তা কাজে লাগাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর