বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে টানা তিন জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আর বেক্সিমকো ঢাকা হেরেছে টানা তৃতীয় ম্যাচে। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম ১০ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশালকে। দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনার বিরুদ্ধে ৩৭ রানে হেরে গেছে ঢাকা।
আঙুলে চিড় ধরায় খেলতে পারেননি চট্টগ্রামের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। টেস্ট অধিনায়কের বদলে চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজমেন্ট বেছে নেন সৈকত আলিকে। সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সৈকত। খেলেন ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ইনিংসটিই মূলত চট্টগ্রামকে জয়ের ভীত গড়ে দেয়। অবশ্য মোহাম্মদ মিথুনের দুর্দান্ত নেতৃত্ব এবং লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সও চট্টগ্রামকে এগিয়ে রেখেছে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের টানা তৃতীয় জয় পেতে তামিম ইকবালের বরিশালকে হারায় ১০ রানে।
‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে গতকালও ৩ উইকেট নিয়েছেন। তিন ম্যাচে কাটার মাস্টারের উইকেট ৯টি। ম্যাচসেরা হয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম স্ট্রাইক বোলার বাঁ হাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। ২৭ রানের খরচে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শরীফুল।লিটন ধারাবাহিকভাবে রান করছেন। প্রথম ম্যাচে ৩০, দ্বিতীয় ম্যাচে হার না মানা ৫৩ রান ও গতকাল ৩৫ রান করেন। তবে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য। বাঁ হাতি ড্যাসিং ওপেনার ব্যর্থ হলেও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২৭, শামসুর রহমান শুভর ২৮ ও অধিনায়ক মিথুনের ১৭ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে। লিটন ৩৫ রান করেন ২৫ বলে। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট পেলেও গতকাল কামরুল ইসলাম রাব্বি নিয়েছেন উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৫২ রানের টার্গেটে ৮ উইকেটে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল।
রাজশাহীকে হারানোর নায়ক তামিম গতকালও ভালো ব্যাটিং করেন। তবে ৩২ রানের বেশি করতে পারেনি। রাজশাহীর বিপক্ষে খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ৭৭ রানের হার না মানা ইনিংস। অবশ্য বরিশালকে দ্বিতীয় হার উপহার দিতে দুর্দান্ত বোলিং করেন চট্টগ্রামের দুই বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজ ও শরীফুল।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম
১৫১/৭ (২০ ওভার)
ফরচুন বরিশাল
১৪১/৮ (২০ ওভারে)
ফল : চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : শরীফুল ইসলাম
জেমকন খুলনা
১৪৬/৮ (২০ ওভার)
বেক্সিমকো ঢাকা
১০৯/১০ (১৯.২ ওভারে)
ফল : খুলনা ৩৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : শুভাগত হোম