বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ

জামালদের অনুপ্রেরণা যখন ভারত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘ভারত ড্র করতে পারলে, বাংলাদেশের জয়ের সামর্থ্য আছে। কোনো অবস্থাতেই আমরা তাদেরকে হালকা চোখে দেখছি না। ম্যাচে যে কোনো ফল হতে পারে এটা মাথায় রেখেই লড়তে হবে।’

শুক্রবার ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ারা যদি জিতে যায় তাহলে কাতার পচা শামুকে পা কাটবেই বলা যায়। কারণ প্রতিপক্ষ হিসেবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার এতটাই শক্তিশালী যে গোল উৎসবে মেতে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে কাতার কিন্তু কোনোভাবেই বাংলাদেশকে হালকা চোখে দেখছে না। যোগ্য প্রতিপক্ষ মেনেই ঘরের মাঠে তারা লড়বে। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। ২০২২ সালে কাতারেই বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের খেলা হবে। এশিয়ার কোন কোন দেশ স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলবে তা নির্ধারণ হবে বাছাইপর্ব থেকে।

‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলছে। ঢাকায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশ ০-২ গোলে হেরেছে। তবে ঘাম ঝরিয়েছে কাতার। প্রথম গোলটি হজম করেছে ডিফেন্ডারদের ভুলে। আর শেষ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে মাঠ ছেড়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। হারলেও সেদিন বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন কাতারের কোচ। বলেছেন ভাগ্যের জোরে আমরা জিতে গেছি। ম্যাচের চেহারা অনুযায়ী বাংলাদেশেরই জেতা উচিত ছিল। নিজেদের ভুলে ঘরের মাঠে পরাজয় ডেকে এনেছে বাংলাদেশ। কাতারের কোচ এটাও বলে যান ফুটবলে বাংলাদেশ যে এগুচ্ছে তা ম্যাচে টের পেলাম।

শুধু ঢাকার পারফরম্যান্স নয়। কাতারের মাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে ভারত গোলশূন্য ড্্র করে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের রুখে দেয়। ম্যাচে ভারত নিশ্চিত ৪টি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। অথচ এই ভারতকেই কলকাতায় বাংলাদেশ কাঁদিয়ে ছেড়েছিল। যেখানে ৩/৪ গোলে জেতার কথা। সেখানে দুর্ভাগ্যক্রমে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করেছিল জামালরা। সুতরাং সেই বাংলাদেশকে কাতার অবহেলার চোখে দেখে কীভাবে?

কাতারের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার কারিম বুদিয়াফ বলেছেন, দুই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে। তার মানে এই নয় যে, শুক্রবার আমরা হেসে খেলে জিতব। ভারত যদি ড্র করতে পারে, আমি বলব সেখানে বাংলাদেশের জয়ের সামর্থ্য আছে। কোনো অবস্থাতেই আমরা তাদেরকে হালকা চোখে দেখছি না। ম্যাচে যে কোনো ফল হতে পারে এটা মাথায় রেখেই লড়তে হবে।

বাংলাদেশ ও কাতার জাতীয় দল চারবার মুখোমুখি হয়। এরমধ্যে ঢাকায় গোলশূন্য ড্্র হলেও বাকি ৩ ম্যাচ কাতার জয়ী হয়। ৪ ডিসেম্বরও বাংলাদেশের হারের সম্ভাবনা বেশি। তবে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘কাতারকে আমরা ফেবারিট মানছি। তবে সেরাটা দিয়েই খেলতে চাই। ভারত ড্র করেছে কাতারের মাটিতে। এটা আমাদের সাহস জোগাচ্ছে। ওরা পারলে আমরা কেন পারব না। তবে লড়তে হবে টিম বাংলাদেশ হিসেবে। কোথাও কোনো ভুল করা যাবে না। মনে রাখতে হবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল হলেও কাতারকে হারিয়েই আমরা জাকার্তা এশিয়ান গেমসে নক আউটপর্বে খেলেছি।’

করোনামুক্ত হয়ে হেড কোচ জেমি ডে কাতারে পৌঁছানোর পর ফুটবলারদের মনোবল বেড়ে গেছে। জেমিই লড়াইয়ে কৌশল সাজাবেন। এখানে বাংলাদেশের হারানোর কোনো কিছু নেই। যা টেনশন মুক্ত হয়ে খেলতে পারবে। কাতারের মাটিতে যদি কাতারকে হারানো যায় তা হবে ফুটবল ইতিহাসে বড় প্রাপ্তি।

সর্বশেষ খবর