আজ কাতারের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা এতটা শক্তিশালী যে, জয়ের আশা মনে হয় কেউ করছেন না। বলাটা ঠিক হচ্ছে কিনা তারপরও বলছি শোচনীয় হারও হতে পারে। মনে প্রাণে চাই বাংলাদেশের জয়। কিন্তু বাস্তবতা যে বড্ড কঠিন। আফসোস লাগে এই কাতার কিনা ফুটবল শুরু করেছিল বেশ পরে। বাংলাদেশে ফুটবলে জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন কাতার ফুটবল খেলার প্রতি মনোযোগী হয়। তারিখটা মনে নেই, তবে সালটা যে ১৯৭৯ ছিল তা আমি নিশ্চিত।
সেবার তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও কাতার মুখোমুখি হয়। ওই ম্যাচে আমিও জাতীয় দলে খেলেছি। শক্তির বিচারে ম্যাচে আমরা পরিষ্কার ফেবারিট ছিলাম। অনেকে ধরে নিয়েছিল জয়টা আমাদের সময়ের ব্যাপার। এক তরফা বল নিয়ন্ত্রণে রেখেও গোলশূন্য ড্র করি। পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। অসংখ্য গোলের সুযোগ পেয়েও ঘরের মাঠে ম্যাচ ড্র করেছি। বিশ্বাস করবেন না জিততে পারিনি বলে রাতে ঘুমও হয়নি। পরের দিন পত্রিকাতেও খেলার নিউজ পড়িনি।
সময় বিবর্তনে দৃশ্যটা কতটা পাল্টে গেছে। জয় তো দূরের কথা কাতার জাতীয় দলের সঙ্গে ড্রটাও স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। মেধা ও পরিকল্পনা করে কাতার এখন ফুটবলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। আর আমরা সাফ-চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালও খেলতে পারি না। কতটা পিছিয়ে গেছি আমরা। চেয়ারে বসাটাই মুখ্য। ফুটবল কিভাবে এগুবে তার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে দিন দিন দেশের ফুটবলে জৌলুস হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তন হবে তাও এখন বিশ্বাস হয় না।