রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কাতার ম্যাচে প্রাপ্তি জিকোর পারফরম্যান্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রতিপক্ষ কাতার। এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যোজন যোজন এগিয়ে (বাংলাদেশ ১৮৪, কাতার ৫৯)। সামনের বিশ্বকাপের আয়োজক তারা। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। এমন এক দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামার আগেই ফলাফলটা আন্দাজ করা যায়। কিন্তু তাই বলে ৫-০! ঢাকার মাঠে গত বছর এই কাতারকেই ২-০তে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশের ডিফেন্স লাইন।

ঢাকার মাঠে তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে কাতারের ডিফেন্স লাইনে বেশ চাপ দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজি নিতে গিয়েই বড় ভুলটা করেন জেমি ডে। সাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বেশি ডিফেন্সিভ খেলেছি। এতগুলো গোল নাও হতে পারত।’ তবে তিনি কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্যের কথাটাও মনে করিয়ে দেন। বিপ্লব বলেন, ‘কাতার অনেক ভালোমানের দল। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সেই তুলনায় বাংলাদেশের শক্তিমত্তা অনেক কম। ফলাফল তো অনুমেয়ই ছিল। তবে গোল আরও কম হতে পারত।’ কাতার দুই উইং দিয়েই সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়েছে বাংলাদেশের ডিফেন্স লাইনে। এর মধ্যেও বিশ্বনাথ, তপু বর্মণরা চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘আমাদের ডিফেন্স লাইন ওদের আক্রমণগুলো রুখবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। কিন্তু কতক্ষণ আর আটকে রাখা যায়!’ অবশ্য কাতার ম্যাচে প্রাপ্তির কথাও বলেছেন বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচেও আমাদের প্রাপ্তি আছে। (আনিসুর রহমান) জিকো অসাধারণ খেলেছে। দুর্দান্ত কয়েকটা সেভ করেছে। না হলে আরও কয়েকটা গোল হতে পারত।’ বিপ্লব ঠিকই বলেছেন। বাংলাদেশের গোলমুখে অন টার্গেটে ১৫টা শট নিয়েছে কাতার। গোল হয়েছে পাঁচটা। আরও অন্তত চার/পাঁচটা গোল হওয়ার মতো শট ছিল। সেগুলো রুখে দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক জিকো। জাতীয় দলে স্থায়ী আসন নেওয়ার সব দরোজাই এবার উন্মুক্ত করলেন তিনি। অভিজ্ঞ আশরাফুল ইসলাম রানাকে বসিয়ে তরুণ জিকোকে দলে নিয়ে যে ভুল করেননি জেমি ডে তাও প্রমাণ হলো।

ফুটবলে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘বল পজিশনে আমরা ২৪-৭৬ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলাম। পাসিংয়ে পিছিয়ে ছিলাম ১৯৫-৫৭৭ ব্যবধানে। এই পরিসংখ্যানই আমাদের সত্যিকারের অবস্থা তুলে ধরে। তবে এখানে থমকে গেলে হবে না। আমাদের উন্নতি করতে হলে এমন ম্যাচ বেশি করে খেলতে হবে। কাতার যেমন ইউরোপ ও আমেরিকান দলগুলোর সঙ্গে খেলে নিজেদের সামর্থ্য বাড়িয়ে নিচ্ছে। আমাদেরও তেমনটা করতে হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল গত রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা। কোচ জেমি ডে কাতার থেকেই চলে যাবেন ইংল্যান্ডে। কবে ফিরবেন, এখনো ঠিক হয়নি। এদিকে গতকাল লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর শুরু হবে ফেডারেশন কাপ। দেশে ফিরে খেলার মধ্যেই থাকতে হবে ফুটবলারদের।

 

 

সর্বশেষ খবর