জেএফএ অনূর্ধ্ব ১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চ্যাম্পিয়ন মাগুরার মেয়েরা। রানারআপ গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর জেলা দল। গতকাল রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ৩-১ গোলে রংপুর জেলা দলকে হারিয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। ফাইনাল ম্যাচের প্রথম গোলটি ১১ মিনিটে রংপুরের অধিনায়ক খাদিজা আক্তারের পা থেকে আসে। কিন্তু ১৭ মিনিটে মাগুরার অধিনায়ক নবিরুন পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে উভয় দলের খেলোয়াড়রা প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকেন। এতে করে পেনাল্টি এরিয়ায় আবারও গোলের সুযোগ পেয়ে যান মাগুরার মেয়েরা। রংপুরের পেনাল্টি এরিয়ায় এক খেলোয়াড় হ্যান্ড করলে ৪২ মিনিটের মাথায় গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেন মাগুরার অধিনায়ক নবিরুন। এর ১ মিনিট পর ৪৩ মিনিটে রংপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মাগুরার স্ট্রাইকার অর্পিতা বিশ্বাস।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের সহযোগিতা পেলে রাজশাহীতে বড় আসরে মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলকেও চাঙ্গা করার জন্য আমি কাজ করে যেতে চাই।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বলেন, ‘মেয়র কাপে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। আমরাও চাই ঢাকার বাইরে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অন্য জেলার টুর্নামেন্টেও পৃষ্ঠপোষকতা রাখার জন্য চেষ্টা করে যাব।’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিফা ও এএফসি কাউন্সিল মেম্বার এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য, মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভুইয়া ওরফে মানিক প্রমুখ।
মাগুরা কোচ ও ম্যানেজার প্রভাষ রজন মৈত্র বলেন, ‘আজকে আমাদের জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় দিন। আমাদের ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। কিন্তু আমরা জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথম চাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। এর আগেও রানারআপ হয়েছি। মাগুরার একটি স্কুলের মেয়েরা জেলা দলের হয়ে খেলেছে। তাই তাদের বোঝাপড়াটাও ভালো ছিল। এজন্য আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
টুর্নামেন্টে ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন মাগুরার অধিনায়ক নবিরুন এবং সর্বোচ্চ ৯টি গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হন রংপুরের অর্পিতা বিশ্বাস।