মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মাহমুদুল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ!

ফিরলেন সাকিব : সাকিব সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাহমুদুল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ!

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের জন্য প্রায় সাত মাস মাঠের বাইরে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে। ক্রিকেট এখন মাঠে ফিরেছে। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরছে। ফিরছেন ক্রিকেটাররা। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করে ফিরছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গতকাল মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নির্বাচক প্যানেল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে ২০ সদস্যের যে প্রাথমিক টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে, তাতে জায়গা হয়নি দেশের অন্যতম সৃজনশীল ব্যাটসম্যান ও টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এরফলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ৩৫ বছর বয়স্ক মাহমুদুল্লাহর সাদা পোশাকের ক্যারিয়ার শেষের ইঙ্গিত দেখছেন। যদিও নির্বাচক প্যানেল এ প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি। গেল বছর অধিনায়ক হিসেবে দুই দুটি ট্রফি জেতা মাহমুদুল্লাহকে বাদ দেওয়া হলেও সুযোগ পেয়েছেন ডান হাতি পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। এক বছরে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফিরেছেন কব্জির চোট কাটিয়ে বাঁ হাতি ওপেনার সাদমান ইসলামও। দুটি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঢাকায় আসবে ১০ জানুয়ারি। সিরিজের প্রথম টেস্ট চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩-৭ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় টেস্ট ঢাকায় ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি।

অভিষেকের পর ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জন্য টেস্ট খেলেছে মাত্র দুটি। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান এবং ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস হারের টেস্টে মাহমুদুুল্লাহ খেলে দুই ইনিংসে রান করেছিলেন মাত্র ২৫ ও ০। এরপর ঘরের মাঠে সুযোগ পাননি। কলকাতায় গোলাপি বলের টেস্টও খেলেছেন। কিন্তু গত ১০ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৭। সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে। অবশ্য ৪৯ টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪ সেঞ্চুরির তিনটিই করেছেন ২০১৮-১৯ সালে পাঁচ টেস্টের মধ্যে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছেন না টেস্ট খেলাতে। তার পজিশনে মোহাম্মদ মিথুন, নুরুল হাসান সোহানদের চিন্তা করছে। তাকে বাদ দিতে অবশ্য নির্বাচকদের ভাবতে হয়নি। কারণ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলে দেশে ফিরে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললেও ১ ও ১৭ রান করেছিলেন। তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল টেস্ট ক্যারিয়ারের সহসাই যদি পড়তে যাচ্ছে টি-২০ অধিনায়কের।

সাকিব সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। মন্দ ছিল না পারফরম্যান্স। ২২৪ রানে হারের ওই টেস্টের দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ছাড়াও রান করেছিলেন ৫৫ (১১, ৪৪)। জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার অপরাধে অক্টোবরে সবধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ হন। গত ২৮ অক্টোবর শেষ হয় নিষেধাজ্ঞা। খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয় ২৯ অক্টোবর। ক্রিকেটে ফিরেন পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ দিয়ে। পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না। ৬ উইকেটের পাশাপাশি ১১০ রান করেছিলেন। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে ফেরার কথা ছিল ক্রিকেটে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিরিজটি স্থগিত হওয়ায়, তার সুযোগ হয়নি ক্রিকেটে ফেরার। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। ফিরছেন ক্রিকেটাররা।

প্রাথমিক দল (টেস্ট)

সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিথুন, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান ও সাদমান ইসলাম।

সর্বশেষ খবর