বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
ফেডারেশন কাপ

এবার নজর কাড়ছেন দেশি ফুটবলাররাও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার নজর কাড়ছেন দেশি ফুটবলাররাও

করোনাভাইরাসে অচল  ছিল ফুটবল। পেশাদার লিগ বাতিল হওয়ার পর ফুটবলাররা অলস সময় কাটিয়েছেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন। বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপের জন্য প্রস্তুতিতে ছিল। যদিও টুর্নামেন্ট শেষ হতে পারেনি। বাকি ফুটবলাররা বসেই ছিলেন। তাই শঙ্কা ছিল ফেডারেশন কাপে তারা ফিটনেসহীন অবস্থায় মাঠে নামবে কি না। এটাও ঠিক দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় কারো কারো ফিটনেসের ঘাটতি চোখে পড়েছিল। কিন্তু মৌসুমের প্রথম ট্রফিতে স্থানীয় ফুটবলাররা ভালোই পারফরম্যান্স শো করছে। এখন দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল বাকি রয়েছে। এ তিনটি ম্যাচে স্থানীয়রা কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়।

শেখ জামাল ধানমন্ডির কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেছেন, আমার দল সেমিতে উঠতে পারেনি। আফসোস থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে ভালো লাগছে স্থানীয়দের পারফরম্যান্স দেখে। করোনায় অনেকে অনুশীলন করার সুযোগই পায়নি। তারপরও তাদের গতিময় খেলা টুর্নামেন্ট জমিয়ে দিয়েছে। মানিক বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছে বিদেশি ফুটবলাররই দলের প্রাণ। অবশ্যই মানসম্পন্ন বিদেশি এনে দলগুলো লাভবান হয়। ট্রফি জয়ের পেছনে তারা বড় ভূমিকা রাখেন। যেভাবে তাদের গুইগান গাওয়া হয় তাতে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় স্থানীয়দের।

অভিজ্ঞ এ কোচের মতে এবারও বসুন্ধরার কিংস, সাইফ, ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল, চট্টগ্রাম আবাহনী শেখ জামালে মানসম্পন্ন বিদেশি এনেছে। অন্য দলগুলো বিদেশি কোটা পূরণ করে মাঠে নামছে। ওরা ভালো খেলছে গোলও পাচ্ছেন। তবে স্থানীয়রাও সমান তালে লড়ছে। এখানে বড় উদাহরণ হতে পারে উত্তর বারিধারা। কাগজে কলমে এবার সবচেয়ে দুর্বল দল বলা হচ্ছে তাদের। ফেডারেশন কাপে তারা নজর কেড়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্ভাগ্যক্রমে তারা হেরে যায়। সাইফের বিদেশি ও স্থানীয়দের পারফরম্যান্স সমান ছিল বলেই জ্বলে ওঠা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে সুমন রেজার প্রশংসা না করলেই নয়। মোহামেডানের সোহাগ, আতিকুজ্জামানের পারফরম্যান্সও চোখে পড়েছে। পুলিশ নকআউটপর্ব না যেতে পারলেও লড়াই করেছে। ব্রাদার্স একেবারে নিস্তর ছিল। ওরা অনুশীলনটা ঠিকমতো করতে পারেনি। স্থানীয়রা ভালো করছে। এটাই ফুটবলে শুভ লক্ষণ। আশা করি লিগও জমজমাট হবে।

সর্বশেষ খবর