শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বেলফোর্টে আবাহনীর রক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফেবারিট বা শক্তিশালী যাই বলি না কেন এবারের লিগ হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। গতকালই তার আভাস পাওয়া গেল। পেশাদার ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপাধারী দল ঢাকা আবাহনী হারানো গৌরব উদ্ধারে এবারও শক্তিশালী দল গড়েছে। বলা চলে, এবারে লিগে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীই হট ফেবারিট দল। কিংসের শুরুটা ভালো হলেও আকাশি-নীলরা প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেতে বসেছিল। প্রতিপক্ষ পুলিশ জিতে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। অথচ দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে পুলিশ হেরে মাঠ ছেড়েছে।

ফেডারেশন কাপে এগিয়ে থেকেও সেমিফাইনালে ৩-১ গোলে হেরেছে আবাহনী। এই হারের পর সমর্থকরা ভেবেছিলেন ভুল-ত্রুটি সুধরিয়ে মিশন শুরু করবে জনপ্রিয় দলটি। অথচ প্রথম ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে। বরং পুলিশের খেলা ছিল গতিময়। বার বার তারা আবাহনীর দুর্গে ঢুকে পড়েছে। ফেডারেশন কাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিলেও পুলিশের গতিময় খেলা বলে দেয় শিরোপা রেসে না থাকলেও তারা ফেবারিটদের ভোগাবে। গতকালই তা লক্ষ্য করা গেল। পুলিশ যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল তাদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝাই যায়নি।

আবাহনীর বিপক্ষে সমান তালে লড়েছে। এটা ঠিক প্রথমার্ধে আবাহনীও গোলের সুযোগ পেয়েছিল। প্রতিপক্ষ ডিফেন্স ও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় জালে বল পাঠানো সম্ভব হয়নি।

ফুটবলে জয়টাই মুখ্য। আবাহনী জিতে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তাই আক্ষেপ থাকার কথা নয়। তবে সামনে যদি আবাহনী চেনা রূপে ফিরতে না পারে তাহলে মাশুল গুনতে হবে এ নিয়ে সংশয় নেই। গোলটাও হয়েছে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। এ নিয়ে কথাও উঠেছে। পুলিশের এক ফুটবলার যখন ব্যথা পেয়ে মাঠে শুয়ে আছেন, ৮৭ মিনিটে তখন বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়েন হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। পুলিশের ডিফেন্ডাররা চেষ্টা করেও গোল ঠেকাতে পারেননি। অথচ সাধারণত দেখা যায়, কোনো ফুটবলার মাঠে পড়ে থাকলে রেফারি খেলা থামিয়ে দেন। পুলিশ আপত্তিও করেছিল। কোচ পাকির আলী ডাগ আউটে হাত নাড়িয়ে আক্ষেপও করেন। কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশি বাজান। দুর্ভাগ্য পুলিশের পরের মিনিটেই কিরগিস্তানের আহমেদভের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এতেই তাদের হার মানতে হয়।

সর্বশেষ খবর