শিরোনাম
শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

স্পিন সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিন সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ

কোনো রকম রাখ-ঢাক না করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ বলেই দিয়েছেন, এ সিরিজে ‘বাংলাদেশ’ ফেবারিট। অবশ্য ক্যারিবীয় কোচ বললেই কি, না বললেই কি! কেন না পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই দুই দলের পার্থক্য পরিষ্কার বোঝা যায়।

শেষ ১০ ওয়ানডের মধ্যে আটটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের জয় মাত্র দুটি। এমন নয় যে সবগুলো ম্যাচ বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলেছে। বাংলাদেশে হয়েছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। দুটি ঢাকায় একটি সিলেটে। তিন ম্যাচ হয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপে। দুই দলের মধ্যে শেষ চার ম্যাচ হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। চারটি ম্যাচেই ক্যারিবীয়দের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা দল খেলেই যেখানে পাত্তা পায়নি সেখানে এ দল আর কতটাই বা ভয়ঙ্কর হবে! সে কারণেই হয়তো নিজেদের খানিকটা পিছিয়ে রেখে সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে ক্যারিবীয়রা।

সফরকারীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের স্পিন। অবশ্য ঘরের মাঠে টাইগারদের স্পিনের বিরুদ্ধে বড় বড় দলগুলোই তো আতঙ্কে থাকে। সেখানে তারুণ্য-নির্ভর এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল যে সমীহ করবে সেটাই স্বাভাবিক।

তবে ক্যারিবীয় কোচ বাংলাদেশকে ফেবারিট হিসেবে ঘোষণা করলেও তরুণ্য-নির্ভর দলটির অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ বেশ আত্মবিশ্বাসী। বাংলাদেশে আসার পর তারা এক দিন আগে অনুশীলন করে নিয়েছেন। মুক্ত হাওয়ায় বের হতে পেরেই যেন অনেক খুশি ক্যারিবীয় নতুন অধিনায়ক। এখন সফরকারীদের প্রথম চ্যালেঞ্জ এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করা।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ২০ জানুয়ারি। এর আগে ১৮ জানুয়ারি একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। এর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য মাত্র চার দিন সময় আছে হাতে। এই চার দিনেই যতটা সম্ভব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চান ক্যারিবীয়রা।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ নিয়ে জেসন মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ‘শেষ কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশ আমাদের বিরুদ্ধে অনেক ভালো করেছে। আমরা এখানে এসেছি তরুণ একটি দল নিয়ে। আমাদের প্রধান টার্গেট থাকবে ম্যাচের ১০০ ওভারই ধারাবাহিক থাকা। সব বিভাগেই যদি ঠিকঠাক মতো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে দেখা যাবে আমরা জিতে যাব।’

ওয়ানডে কিংবা টেস্ট- দুই ফরম্যাটেই বাংলাদেশের স্পিন নিয়ে তটস্ত থাকতে হবে ক্যারিবীয়দের। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজদের খেলা যে কত কঠিন তা খুব ভালো করেই জানেন ক্যারিবীয়রা। সে কারণেই ব্যাটিং অনুশীলনে স্পিনের প্রতি তাদের বাড়তি মনোযোগ।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ যে ম্যাচে ক্যারিবীয়রা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরেছিল সে ম্যাচে কিন্তু দাপট ছিল পেসারদের। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুস্তাফিজুর রহমান। ক্যারিশম্যাটিক বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। যদিও এবার দলে নেই মাশরাফি, তারপরও স্বাগতিক দলের তরুণ পেসাররা কম কিসে! মুস্তাফিজ-আল আমিনরা ঘরোয়া লিগে দাপট দেখিয়েছেন। তারপরও ক্যারিবীয়দের আসল ভয় তো স্পিনারদের নিয়ে। ঘূর্ণি বল খেলতেই যে বেশি অস্বস্তিবোধ করেন উইন্ডিজরা।

সর্বশেষ খবর