সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অভিষেকেই মেয়ার্সের বীরত্বগাথা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অভিষেকেই মেয়ার্সের বীরত্বগাথা

গ্যারি সোবার্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, ব্রায়ান লারা, ক্রিস গেইলরা যা পারেননি, সেটাই করেছেন কাইলি মেয়ার্স। এর চেয়ে ভালো যাত্রা কি কল্পনাতেও সম্ভব? বোধহয় না। ইতিহাস লেখা অনেক দূরের কথা, বাংলাদেশ সফরেই আসার কথা ছিল না তার। করোনাভাইরাসের জন্য মূল স্কোয়াডের ১০ ক্রিকেটার সরে দাঁড়ালে সুযোগ পান ২৮ বছর বয়সী মেয়ার্স। সুযোগকে শতভাগ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লিখেছেন নতুন এক রূপকথা। রূপকথা লিখে তিনি এখন ক্যারিবীয় ক্রিকেটের নতুন নায়ক। মেয়ার্সের রাজসিক অভিষেকে অবিশ্বাস্য টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। মেয়ার্সের আগে আরও ৫ ক্রিকেটার ডাবল সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েন। কিন্তু মেয়ার্সেরটি অনবদ্য। ঘূর্ণি উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রান তাড়া করে করে ম্যাচ জিতিয়ে লিখেছেন ইতিহাস। পাঁচ ক্রিকেটার শুরুতেই ব্যাটিং করেছেন কিন্তু মেয়ার্স রান তাড়া করে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। ৫৯ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর ব্যাটিংয়ে আসেন মেয়ার্স। মাঠ ছাড়েন জয়সূচক রানটি নিয়ে। এর মাঝেই তিনি খেলেন ২১০ রানের ম্যাচ জেতানো হার না মানা ইনিংস। ৪১৫ মিনিট স্থায়ী ৩১০ বলের মুখোমুখিতে ইনিংসটি খেলেন ২০ চার ৩ ছক্কায়। মেয়ার্স দ্বিতীয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এর আগে লরেন্স রো  ১৯৭২ সালে কিংসটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২১৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান করেছিলেন। মেয়ার্স প্রথম ইনিংসে ৪০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ ২২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন। অভিষেক টেস্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের রেজিনাল্ড আর্সকাইন ফস্টারের, ২৮৭। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু ২০১*, নিউজিল্যান্ডের ম্যাথু সিনক্লেয়ার ২১৪ রান করেছিলেন অভিষেক টেস্টে।

সর্বশেষ খবর