মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কিংস ছুটছে কিংয়ের মতোই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কিংস ছুটছে কিংয়ের মতোই

থামছে না বসুন্ধরা কিংস। পেশাদার ফুটবল লিগে একের পর এক ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখার আভাস দিচ্ছে। কিংস ছুটছে কিংয়ের মতোই। যেমন নাম তেমন ফল। টানা সাত ম্যাচ জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান আরও মজবুত করেছে। মৌসুমের প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেই চ্যাম্পিয়ন হয় তপু বর্মণরা। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ১২ জয়। এ অবস্থায় কিংসকে চ্যালেঞ্জ জানাবে কে? কুমিল্লায় হোম ভেন্যুতে আগের ম্যাচে মোহামেডানকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে। গতকাল ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জয়ের বৃত্তেই বন্দী তারা। অ্যাওয়ে ও হোম ভেন্যু সব ক্ষেত্রেই কিংস কিং রূপ ধারণ করছে। ঢাকায় তেমনভাবে দর্শক সমাগম না হলেও কুমিল্লার গ্যালারিতে ভিন্ন

চেহারা। প্রতিটি ম্যাচেই দর্শক আসছে। ধীরেন্দ্রনাথ মোহামেডানেরও হোম ভেন্যু। কিন্তু কিংসের খেলা হলেই বদলে যায় চেহারা। লাল পতাকা ও জার্সিতে পুরো গ্যালারিই হয়ে উঠে লালে লাল। বসুন্ধরার সমর্থক সংখ্যা যে বেড়েই চলেছে তা বার বার প্রমাণ মিলছে। দর্শকরা আসেন চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন রূপ দেখতে। পুরো তৃপ্তি দিয়েই বিজয়ের নিশানা উড়াচ্ছে পেশাদার লিগে ইতিহাস গড়া দলটি।

শক্তির বিচারে গতকালকের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা আন্ডারডগ হলেও কোচ অস্কার ব্রুজোন শিষ্যদের সতর্ক করেই মাঠে নামান। জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলেও কিংস এখনো বড় দলের মুখোমুখি হয়নি। তাই কোনো অবস্থায় দুর্বলদের কাছে হোঁচট না খায় সেই লক্ষ্যেই একের পর এক ম্যাচ জিতছে। সত্যি বলতে মুক্তিযোদ্ধা অঘটন ঘটাবে তা কাল এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি।

শুরু থেকেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে কিংস। নিজেদের মধ্যে তারা এমনভাবে বল আদান-প্রদান করছিল তা দেখে মনে হচ্ছিল মাঠে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। গোলের সম্ভাবনা তো দূরের কথা ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করার মতো আক্রমণও করতে পারেনি। রক্ষণভাগে অধিনায়ক তপু বর্মণ ও ইরানি খালেদ শাফি যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিটি ম্যাচেই ছক কষে খেলছে আর জিতেই চলেছে দেশসেরা বসুন্ধরা কিংস।

এগিয়ে যেতে খুব একটা সময় নেয়নি কিংস। ১০ মিনিটেই রবসন রবিনহো গোল করে দর্শকদের আনন্দে ভাসান। এটি তার লিগে ৬ষ্ঠ গোল। রবসন, রাউল, ফার্নান্দেজ ও মতিন মিয়ার সমন্বয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে কিংস। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল। নষ্ট করায় মনে হচ্ছিল প্রথমার্ধে আর গোল হবে না। কিন্তু ৪৫ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে রাউল বেসেরা ব্যবধান ২-০ করেন। এতে করে তার গোল সংখ্যা চারে ঠেকলো। ৭৫ মিনিটে বদলি হিসেবে তৌহিদুল আলম সবুজ গোল করলে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কিংস। ম্যাচে ঝুঁকি কম ছিল বলে কোচ অস্কার খেলোয়াড় বদল করে শিষ্যদের পরীক্ষাও নিয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা পরবর্তী ম্যাচে লড়বে শেখ জামালের বিপক্ষে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ও উত্তর বারিধারা ২-২ গোলে ড্র করে। ৪০ মিনিটে নিক্সনের গোলে বন্দরনগরীর দলটি এগিয়ে যায়। ৫৬ মিনিটে সমতা ফেরান সুমন রেজা। ৭৪ মিনিটে আরিফের গোলে উত্তর বারিধারা এগিয়ে গেলেও ইনজুরি টাইমে জালে বল পাঠিয়ে চট্ট.আবাহনীর হার ঠেকান রাব্বি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর