মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জেমির কপালে চিন্তার ভাঁজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেশাদার ফুটবল লিগে ফেবারিট দলগুলোই শিরোপা দৌড়ে আছে। কিন্তু যাদের কাছে ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তারা এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ফুটবলে যে বেহাল দশা এখনতো কাউকে সেভাবে তারকা বলে চিহ্নিতও করা যাবে না। তবু জাতীয় দলে যারা খেলেন তারাইতো বাংলাদেশের পরিচিত ফুটবলার। চেনামুখরাই যেন অচেনা হয়ে গেছে। স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন লিগে প্রথম ম্যাচের পর বাইরে। তার পারফরম্যান্স ঘিরে প্রশ্ন তোলাটাও ঠিক হবে না। কিন্তু বাকিরা কি করছেন? সাদ উদ্দিন, মতিন মিঞা, মাহবুবুর রহমান সুফিল, রবিউল, ইব্রাহিম বা বিপুলরা কী করছেন। কারও কারও অবস্থা এত করুণ যে দলে সেরা একাদশেও জায়গা হচ্ছে না।

গোলদাতার তালিকায় টপ টেনে বিদেশিরাই আছেন। এ নিয়ে অবশ্য কেউ বিচলিত নন। কারণ পেশাদার লিগ শুরুর পর একবারই স্থানীয় ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। তাই বলে আক্রমণভাগে দেশি ফুটবলাররা জালই চিনবে না তা কি মানা যায়। ৮ গোলে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসে আছেন শেখ জামালের ওমর জোবে। আর দেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার গোল এসেছে শেখ রাসেলের মো. আবদুল্লাহর পা থেকে। অথচ এখানে থাকা উচিত ছিল দেশের সেরাদের কারোর। চেনা ফুটবলারদের অচেনা রূপে বিচলিত জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। ঢাকায় ফিরে আসার পর তিনি নিয়মিত লিগ দেখছেন। ঢাকার বাইরেও যাচ্ছেন। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করেই সামনে তিনি জাতীয় ক্যাম্প ডাকবেন। চেনা ফুটবলারদের বেহাল দশা দেখে জেমির কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে। এমন হলে কাদের নিয়ে দল গড়বেন তিনি। বিদেশিরা ভালো খেলবে এটাই স্বাভাবিক। দেশীয় তারকারা তো খেলতেই পারছে না। কী যে করবেন জেমি, তা সামনেই বোঝা যাবে।

জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনও সন্তুষ্ট নন। সামনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লড়াই। যদি তারকাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি না ঘটে তাহলে জাতীয় দলে একাধিক নতুন মুখের দেখা মিলতে পারে। লিগে ম্যাচ বাকি আছে তাই কারোর যে পারফরমেন্স উন্নতি ঘটতেও পারে।

সর্বশেষ খবর