বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

মুক্তির আনন্দে জিমে ক্রিকেটাররা

‘এখনকার আবহাওয়া খুবই ভালো। আগে এখানে আবহাওয়ার কারণে যে ভুগতে হতো, এরকম আবহাওয়া থাকলে এবার আশা করি সেটা হবে না।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুক্তির আনন্দে জিমে ক্রিকেটাররা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ নাঈমসহ বেশ কয়েক ক্রিকেটার জিম করছেন। ক্রিকেটারদের মুখে আনন্দের আভা।

কোয়ারেন্টাইনের ‘ভয়ঙ্কর সাত দিন’ শেষে গতকাল অষ্টম দিনে গ্রুপ হয়ে জিম করার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। আজ থেকে মাঠে অনুশীলন শুরু হবে। তবে টাইগাররা পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন ১৪দিন পর থেকে।

রুমবন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চের হোটেলে এক রুমে থাকতে থাকতে যেন টাইগারদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মোহাম্মদ মিথুনের কাছে এই অভিজ্ঞতা ‘কষ্টকর’। এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজ রুমবন্দী অবস্থাকে ‘জেলখানা’ বলেছিলেন! কষ্টের অনুভূতি নিয়েই মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দফা কভিড-১৯ টেস্টে সব ক্রিকেটার ‘নেগেটিভ’ হওয়ায় অনুশীলনের সুযোগ এসেছে। হোটেল থেকে কিছুটা দূরে লিঙ্কনে অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। প্রথম ৭ জনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্র্যাকটিস করবেন তারা। এই গ্রুপের ৫জন করে ক্রিকেটার এবং দুজন সাপোর্ট স্টাফ থাকবেন।

আস্তে আস্তে অস্বস্তি কাটতে শুরু করেছে টাইগারদের। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় গতকাল মোহাম্মদ মিথুন বলেন, ‘এতদিন আমাদের চলাফেরায় অনেক বাধা ছিল। এখন আস্তে আস্তে নরম্যাল হচ্ছে। আজকে (গতকাল) জিম করার সুযোগ পেয়েছি। এক সপ্তাহ পর জিম ব্যবহার করতে পেরে ভালো লাগছে।’

মাঠে ফেরার আনন্দ যেন ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে উৎফুল্ল করে দিচ্ছে। মিথুন বলেন, ‘ঘরের মধ্যে থাকা আসলেই অনেক কষ্টকর। খুব বেশি কিছু করার নেই, সারা দিন ঘরের মধ্যে থেকে। আমরা এখানে একটি সিরিজ খেলতে এসেছি, কালকে (আজ) থেকে মাঠে যেতে পারব, ভাবতেই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে। আমরা যখন ক্রিকেট ট্রেনিংয়ে ফিরব, তখন আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে পারব।’

নিউজিল্যান্ডের ঠা- বাতাস ক্রিকেটারদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। তবে এবার সেখানকার আবহাওয়া নিয়েও স্বস্তির কথা জানালেন মিথুন, ‘এখনকার আবহাওয়া খুবই ভালো। আগে এখানে আবহাওয়ার কারণে যে ভুগতে হতো, এরকম আবহাওয়া থাকলে এবার আশা করি সেটা হবে না।’

নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটারদের জন্য সুখের খবর হচ্ছে এই প্রথম তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। কারণ ১৪ দিন পার হলে গেলে আর কোনো ঝামেলা নেই। কারণ নিউজিল্যান্ডে বায়ো-বাবলে থাকতে হচ্ছে না। তবে সামনের সাতদিন গ্রুপে বিভক্ত হলে অনুশীলনের পর আরেক দফায় কভিড-১৯ টেস্ট করানো হবে। সেটাই ফাইনাল পরীক্ষা। সেখানে নেগেটিভ হলেই পুরো স্বাধীনতা। দলের ক্রিকেটার তাকিয়ে আছেন ওই সময়ের দিকে।

মিথুন বলেন, ‘১৪ দিন পর আমাদের যে স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হবে, অবশ্যই সবাই তা উপভোগ করবে। কারণ ১ বছর ধরে আমরা কভিডের মধ্যে আছি। বাংলাদেশেও যতগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি, হোটেল থেকে বের হওয়ার সুযোগ হয়নি। এখানে একটু আলাদা, ১৪ দিন পর মুক্ত হয়ে ঘোরাফেরা করতে পারব। সেটা ভেবে ভালো লাগছে।’

 

নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ।

সর্বশেষ খবর