শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
নিউজিল্যান্ড সফর

শঙ্কা নেই, অনুশীলনে টাইগাররা

রিখটার স্কেলে ৮.১ মাপের ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল দেশটির প্রশাসন। পরে সেই সতর্কবার্তা তুলে নেয় প্রশাসন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রায় দুই বছর আগে সফর শেষ করার আগেই দেশে ফিরেছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন তামিম, মুশফিকরা। মাত্র অল্প কয়েক মিনিটের জন্য ক্রিকেটাররা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সন্ত্রাসী হামলা থেকে। দুই বছর পর গতকাল সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন ক্রিকেটাররা। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে নামাজ পড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ছবিটিই নিশ্চিত করেছে, ক্রাইস্টচার্চে ভালো আছেন ক্রিকেটাররা। সুস্থ আছেন এবং নির্ভার আছেন। শুধু তাই নয়, গতকাল ক্রিকেটাররা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে অনুশীলনও করেছেন।

ক্রিকেটাররা পরশু রাতে যখন ‘শ্যাডো বাই পার্ক’ হোটেলে গভীর ঘুমে ছিলেন, তখন নিউজিল্যান্ড সময় মধ্যরাত ২টা ২৭ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে নর্দার্ন এরিয়ার ইস্ট কোস্ট অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ৮.১ মাপের ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল দেশটির প্রশাসন। সতর্কও করেছিল। অবশ্য পরে সেই সতর্কবার্তা তুলে নেয় প্রশাসন। এতে করে নিশ্চিত হয় যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গতকাল নিউজিল্যান্ড থেকে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সবাই ভালো আছেন, ক্রাইস্টচার্চ থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরে নিউজিল্যান্ডের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ইস্টকোস্টের দিকে ভোর ২টা ২৭ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে করে কোস্টাল এরিয়ায় সুনামি হওয়ার কথা ছিল। ওই ভূমিকম্পের প্রভাব ক্রাইস্টচার্চ কিংবা অন্য শহরগুলোয় পড়েনি। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল, আমরা ভালো আছি, সুস্থ আছি। এ সুনামির কোনো প্রভাব আমাদের ওপর পরেনি।’

সুনামি কিংবা ভূমিকম্প কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি, সেটা স্পষ্ট টাইগারদের অনুশীলনের নিশ্চয়তায়। ক্রিকেটাররা যে অনুশীলন করেছেন সেটাও জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘আমাদের প্রতিদিন অনুশীলনের যে রুটিন ছিল, সেটা আমরা চালিয়ে নিচ্ছি। ছেলেরা চারটি দল করে অনুশীলন করেছে, জিম করেছে। ক্রিকেটারদের অনুশীলন চলবে। নিউজিল্যান্ড সরকার এবং দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমাদের চিন্তা করতে মানা করেছে। বলেছে, সবকিছু নিরাপদ আছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা আমাদের শিডিউল মেনে অনুশীলন চালিয়ে যাব।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে। দুটি সিরিজ খেলতে ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ডে পা রাখে ২৪ ফেব্রুয়ারি। সফর শুরু হবে ২০ মার্চ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। তাসমান সাগর পাড়ের দেশটিতে পা রেখেই ক্রিকেটাররা এক সপ্তাহের আইসোলেশনে চলে যান। এর মাঝে তিনবার কভিড-১৯ পরীক্ষা দিয়ে নেগেটিভ হলে অনুশীলনের সুযোগ পান ক্রিকেটাররা। ১০ মার্চ পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে অনুশীলন করে ক্রিকেটাররা কুইন্সটাউনে যাবেন। সেখানে পাঁচ দিন উন্মুক্ত অনুশীলন করবেন। সেই প্রস্তুতি নিয়েই ওয়ানডে সিরিজে নামবেন।

গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য সফরটি স্থগিত হয়েছিল। এরপর দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড আলাপ-আলোচনা করে আইসিসি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতেই এই সিরিজ খেলছে দুই দেশ।

সর্বশেষ খবর