শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সবুজ পিচে ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা

২০০৪ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০তে জিততে পারেনি। তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া তারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সবুজ পিচে ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা

দারুণ ছন্দে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে কেন উইলিয়ামসনের দলটি আগামী জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবে। শুধু টেস্ট নয়, ব্ল্যাক ক্যাপসরা দুর্দান্ত খেলছে ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটেও। কিছু দিন আগে তাসমান সাগরের ওপারের অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে টি-২০ সিরিজে। ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে ভারতকে।

২০ মার্চ থেকে করোনাকালে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সিরিজের সব ম্যাচই হবে সবুজ ঘাসের উইকেটে। সেখানে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে স্বাগতিক পেসার টিম সাউদি, ট্রেন্ট বুল্ট, কাইলি জেমিসন, স্পিনার আইএস সোধী ও মিচেল সান্তানাদের বিপক্ষে। তাদের সামলে রান করাটা খুবই কঠিন হবে তামিম, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকদের। সফরে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তামিম বাহিনী। ২০, ২৩ ও ২৬ মার্চ ওয়ানডে তিনটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ডুনেডিন, ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে। এরপর টি-২০ তিনটি ২৮ ও ৩০ মার্চ এবং ১ এপ্রিল।

২০০৪ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০তে জিততে পারেনি। দেশ ছাড়ার আগে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া তারা। কতটা সফল হবে, সময় বলবে। তবে এটা নিশ্চিত অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে সাফল্য পেতে তামিমদের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটুকুই ঢেলে দিতে হবে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা প্রথম ম্যাচ খেলে ১৯৯০ সালে শারজাহতে অস্ট্রেলেশিয়া কাপে। এরপর ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এবং বাকি ম্যাচগুলো টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর। দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ৩৫টি। যার ২৫টিতেই হেসেছে নিউজিল্যান্ড এবং বাকি ১০ ম্যাচে বাংলাদেশ। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর টাইগাররা প্রথম জয়ের স্বাদ পায় ২০০৮ সালের ৭ অক্টোবর মিরপুরে। জুনায়েদ সিদ্দিকীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছিল ৭ উইকেটে। এরপর আবার টানা ৫ হার। ১৮ ম্যাচ থেকে টানা ৭ ম্যাচ জিতে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দেয় বাংলাদেশ এবং সব ম্যাচই ছিল দেশের মাটিতে। এরমধ্যে মিরপুরে ৬টি এবং একটি ফতুল্লায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের বাইরেও জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। দুটি ম্যাচই ২০১৭ সালে। প্রথমটি ডাবলিনে তিন জাতির টুর্নামেন্টে। দ্বিতীয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের জোড়া সেঞ্চুরিতে কার্ডিফের ম্যাচটি টাইগাররা জিতেছিল ৫ উইকেটে। ডাবলিনেও জিতেছিল ৫ উইকেটে।

শুরুতে নিউজিল্যান্ড ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ। টাইগাররা এখন পর্যন্ত তিনবার শয়ের নিচে আউট হয়েছে। যার একটি কুইন্সটাউনে। ৯৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন এই কুইন্সটাউনেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে। সর্বনিম্ন স্কোর ৭৭, কলম্বোতে, ২০০২ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে টাইগারদের দলগত সর্বোচ্চ স্কোর ফতুল্লায় ৬ উইকেটে ৩০৯। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ ৭ উইকেটে ২৮৮ রান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে করেছিল এই রান। ম্যাচটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত টাইগার ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি। যার চারটিই দেশের বাইরে এবং দুটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।

সর্বশেষ খবর