বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর খেলা আমি দেখেছি

আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী। তাঁকে ঘিরে কত স্মৃতিই না চোখে ভাসছে। আমি ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। তাই বঙ্গবন্ধুর ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করছি। আমি সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর খেলা গ্যালারিতে বসে দেখেছি। ১৯৪৮ সালের ঘটনা। তখনো তিনি বঙ্গবন্ধু খেতাবটি পাননি। চল্লিশের দশকে উনি তখন ওয়ান্ডারার্সের জার্সি পরে মাঠে নামতেন, তখন আমরা তাকে মুজিব ভাই বলেই ডাকতাম। তখন তো বিখ্যাত দল বলতে ওয়ান্ডারার্স, আজাদ ও ভিক্টোরিয়াকে বোঝাত। আমি ছিলাম ওয়ান্ডারার্সের সাপোর্টার। নানা ব্যস্ততার কারণে মুজিব ভাই ওয়ান্ডারার্সে নিয়মিত খেলতে পারেননি। যেদিনই মাঠে নামতেন ছুটে আসতাম স্টেডিয়ামে। তখন তো কাঠের গ্যালারি। ১ থেকে দেড় হাজার দর্শক বসতে পারতেন। টিনে ঘেরা পুরো স্টেডিয়াম।

বিকালে খেলা। মুজিব ভাইয়ের খেলা দেখতে সকাল বেলায় নদী পার হয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে ছুটে আসতাম। যেহেতু মুজিব ভাইয়ের খেলা দেখেছি, তাই অনেকে বলতে পারেন বঙ্গবন্ধু কেমন ফুটবলার ছিলেন। তিনি খেলতেন সেন্টার ফরোয়ার্ডে। অসম্ভব গতি ছিল তাঁর। এখন যাকে ডিবলিং বলা হয় তখন বলা হতো কেরিকাটা।  ৫/৬ জনকে কাটিয়ে গোল করাটা ছিল মুজিব ভাইয়ের কাছে মামুলি ব্যাপার। আমি বলব মুজিব ভাই যদি দীর্ঘদিন খেলতে পারতেন আমি নিশ্চিত উনি হতে পারতেন এশিয়ার অন্যতম ফুটবলার।

আরেকটা কথা না বললেই নয়, রোইং ফেডারেশন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই হয়েছিল। উনি আমার চেয়ে ১২ বছরের বড় ছিলেন। তুই বলেই ডাকতেন। এতে ধন্য হতাম, ১৯৭২ সালে কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা। আমাকে দেখেই বললেন কীরে খোরশেদ নৌকাবাইচ ফেডারেশন গড়তে পারিস না। তোকেই দায়িত্ব দিলাম ফেডারেশন গড়ার। এমনও দৃশ্য দেখেছি খেলা শেষে। মুজিব ভাই মাঠেই ড্রেস পাল্টিয়ে বের হয়ে গেলেন। বাইরে যে উনার জন্য রাজনীতি কর্মীরা অপেক্ষা করছেন।

সর্বশেষ খবর