‘করোনার এই সময়ে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি আমরা। এমন আয়োজন কর্মীদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করি।’ কথাগুলো বলছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান। গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন-ব্লকের বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ৮৯ রানে হারিয়েছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসকে। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন আন্তবিভাগীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মূল উদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানসহ বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ২০ ওভারে ২২২ রান করে। জবাব দিতে নেমে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ১৯ ওভারে ১৩৩ রান করে। বিজয়ী দলের অধিনায়ক রেদোয়ানুর রহমান সিরিজ সেরা এবং মামুন ফাইনাল সেরার পুরস্কার জয় করেন। এলপি গ্যাস দলের অধিনায়ক ছিলেন জাকারিয়া জালাল।
বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স বাংলাদেশে একটি মাইলফলক স্থাপন করতে যাচ্ছে। বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে ক্রীড়া উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ কমপ্লেক্সে দুটি ফুটবল স্টেডিয়াম থাকছে যথাক্রমে ১৫ হাজার ও ৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার। ক্রিকেটের জন্য থাকছে অলআউট ফ্যাসিলিটি। দুটি স্টেডিয়ামে যথাক্রমে ২৫ হাজার ও ১২ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ইনডোর ও আউটডোর নেট প্র্যাকটিসের সুবিধা থাকছে ক্রিকেটারদের জন্য। পুরুষদের জন্য আট লেন ও মেয়েদের জন্য ছয় লেনের সুইমিং পুল হচ্ছে। ইনডোর কমপ্লেক্সে থাকছে নানান খেলার সুবিধা। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকছে আলাদা ইয়োগা সেন্টার। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অবকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এই কমপ্লেক্স দেশের সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স হতে যাচ্ছে।’