বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রইল বাকি অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রইল বাকি অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে সিরিজ জয়ের চক্র পূরণের পথে এখন বাকি শুধু দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।

শ্রীলঙ্কান বোলারদের পাত্তাই দিচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। সতীর্থদের পারফরম্যান্সে উজ্জীবিত মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানও। সেঞ্চুরি, হাফসেঞ্চুরি করে সিরিজের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন মুশফিক। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমও পিছিয়ে নেই। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। দলের বিপর্যয়ে দায়িত্ব কাঁধে তুলে দারুণ ব্যাটিং করছেন মাহমুদুল্লাহ। তিন ক্রিকেটারের চওড়া ব্যাটে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুর্দান্ত বোলিং করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুজনের বোলিংয়ে এলেবেলে হয়ে ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপের প্রথম দুই ম্যাচে পাত্তাই পায়নি দ্বীপরাষ্ট্র। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

এখন টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে সিরিজ জয়ের চক্র পূরণের পথে বাকি শুধু দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যদিও দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের।

১৯৮৬ সাল থেকে নিয়মিত ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে পর্যন্ত ৩৮৪ ওয়ানডে খেলে জয় ১৩৩টিতে। সিরিজ জিতেছে ২৭টি। সর্বোচ্চ ১১ বার জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫, নিউজিল্যান্ড ২, কেনিয়া ২ এবং একটি করে সিরিজ জয় ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশ প্রথম সিরিজ জয় ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দেশগুলোর বিপক্ষে সিরিজ জেতা ছাড়াও বিভিন্ন আসরে জয়ের রেকর্ড রয়েছে কানাডা, বারমুডা, হংকং, আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।

প্রতিবেশী ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩৬ ম্যাচে জয় ৫টি। সিরিজ জিতেছে ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয় ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে। সব মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে জয় ৫টি। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইওয়াশ করেছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। একই বছর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ২-১ ব্যবধানে হারায়। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে জয় ৪টি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র জয় ২০০৫ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে। সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে ২১টি। একটি আবার পরিত্যক্ত হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ জয়ের দুটি আবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে ইংলিশদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলেন মাশরাফিরা। ২০১১ সালের ঘরের মাটিতে হারিয়েছিল ইংলিশদের। সব মিলিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে ২১টি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হেরেছে ৮ ম্যাচে ৩ বার। টাইগাররা সবচেয়ে বেশি ৭৫ ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জয় ৪৭ এবং হার ২৮টি। আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে যথাক্রমে ৩-২, ৫-০, ৩-১, ২-১, ৪-১, ৪-১, ৩-১, ৫-০, ৩-০, ৩-০ ও ৩-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আগামীকাল বিপক্ষে ৫১ নম্বর ম্যাচটি খেলবে। দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় ৯ এবং হার ৩৯। এবারই প্রথম সিরিজ জিতল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ ম্যাচে জয় ১০ এবং হার ২৮টি। সিরিজ জিতেছে যথাক্রমে ৩-০ ও ৪-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫বার সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৪১ ম্যাচে জয় ১৮। যা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বাধিক জয়। দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জয়গুলো ৩-০, ৩-২, ২-১, ২-১ ও ৩-০।

 

সর্বশেষ খবর