রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সিংহাসন হারালেন ক্লে কোর্টের রাজা

ক্রীড়া ডেস্ক

সিংহাসন হারালেন ক্লে কোর্টের রাজা

বহু বছর আগের কথা। ফ্রেঞ্চ ওপেনে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুইডিশ তারকা বিয়ন বোর্গ বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন (১৯৭৮-১৯৮১)। এরপর কেটে যায় দুই যুগ। এক স্প্যানিশ তরুণ লম্বা চুল নিয়ে টেনিসে কোর্টে ঝড় তোলেন। টেনিস কোর্ট বলতে লাল রঙা রোলা গারোয়। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার মারিয়ানোকে হারিয়ে সূচনা। এরপর বদলে যায় ইতিহাস। নতুন করে লিখতে হয় সবকিছু। নাদাল টানা চার বার করে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় করেন দুই বার (২০০৫-০৮) ও (২০১৭-২০১০)। টানা পাঁচবার জিতেন ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে। মোট ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রেঞ্চ ওপেনে। লাল কোর্টে নাদালের স্থান হয় এভারেস্ট চূড়ায়।

শুক্রবার সেমিফাইনালে নাদালকে বিদায় করে যেন এভারেস্ট চূড়া জয় করেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। প্রথম সেটে হেরে যান তিনি ৬-৩ গেমে। এই সেটে এক সময় নাদাল এগিয়ে গিয়েছিলেন ৫-০ ব্যবধানে। রোলা গারোর দর্শকরা ভেবেছিলেন, আরও একটা ‘নাদাল শো’ দেখেই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু নোভাক জকোভিচের মনে তখন ভিন্ন চিন্তা। নাদালকে পরখ করে নেওয়ার পর সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। পরের তিনটা সেটের মধ্যে দুটোতেই জিতেন সহজে। একটিতে অবশ্য টাইব্রেকে সমাধান হয়। ম্যাচটা জকোভিচ জিতে নেন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ (৭/৪), ৬-২ গেমে। পরাজিত নাদাল মুখ ঢেকে দীর্ঘদিনের প্রিয় কোর্ট ছাড়ার মানসিক প্রস্তুতি নেন।

নাদাল ফ্রেঞ্চ ওপেনে ক্যারিয়ারের তৃতীয় পরাজয়ের শিকার হলেন। এর মধ্যে দুটিতেই তিনি হেরেছেন জকোভিচের কাছে (২০১৫ ও ২০২১)। একবার হেরেছিলেন রবিন সোদারলিংয়ের কাছে (২০০৯)। জকোভিচের কাছে পরাজিত নাদাল বলেন, ‘আমি ব্যথিত। কারণ, সবচেয়ে প্রিয় টুর্নামেন্টে আমি হেরেছি। তবে জীবন তো আর থেমে থাকবে না। এটা কেবল টেনিস কোর্টে একটি পরাজয়। এবার আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হব। তারপর ভেবে দেখব পরবর্তী গন্তব্য কোথায়।’

নাদালকে হারিয়ে সার্বিয়ান তারকা দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘এমন অসাধারণ এক ম্যাচে রাফার (নাদাল) মুখোমুখি হওয়া সত্যিই গর্বের ব্যাপার। প্যারিসে এটাই (সেমিফাইনাল) আমার সেরা ম্যাচ। এমনকি আমার ক্যারিয়ারের সেরা তিন ম্যাচের মধ্যে এটা থাকবে।’ এমন এক ম্যাচ জয়ের পর জকোভিচ যথার্থ কথাই বলেছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেনে নাদাল যে হারতেও পারেন, এমনটা কে ভেবেছিল!

সর্বশেষ খবর