মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

তরুণরাই আশার বাতিঘর

বাংলাদেশের সামনে ওমান

তরুণরাই আশার বাতিঘর

বাংলাদেশের ফুটবলে জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে! তখনই ওমান ফুটবলে মনোযোগী হয়। সত্যি বলতে কি আরব দেশের এ দেশটি ফুটবল খেলে তা অনেকেই জানতেন না। ১৯৮১ বা ১৯৮২ সালে ওমান জাতীয় দল ঢাকায় আগাখান গোল্ডকাপ ফুটবল খেলতে এসেছিল। গ্রুপপর্ব লড়াইয়ে ২ গোলে পিছিয়ে থেকে মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে। ফাইনালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ড্রয়ে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। যুগ্ম হলেও দেশের বাইরে প্রথম ট্রফি জয়ই ওমানের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। পরিকল্পনা করে ফুটবলে উন্নয়ন ঘটিয়ে তারা এখন এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল। অন্যদিকে বাংলাদেশ পেছনের দিকেই হাঁটছে। আজ সেই ওমানের বিপক্ষেই বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে। আর এ ম্যাচ দিয়েই তপুদের বিশ্ব ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের মিশন শেষ হচ্ছে। কোনো সন্দেহ নেই ওমান শক্তির দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে। র‌্যাঙ্কিং ও মানে ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট। প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ ১-৪ গোলে হেরেছিল। আজকের ম্যাচ ঘিরে আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ তারকা খেলতে পারবে না। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, রহমত মিয়া, বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি থাকছেন না। সোহেল রানা আফগানিস্তানের সঙ্গে আঘাত পেয়ে আগেই আউট। স্বাভাবিকভাবে এটা দলের জন্য বড় ধাক্কা। কেউ কেউ এতটা শঙ্কিত যে বাংলাদেশ গোলের বন্যায় ভেসে না যায় সে চিন্তাটা পেয়ে বসেছে।

জানি না দল নিয়ে এতটা বিচলিত কেন? যারা খেলতে পারবে না নিঃসন্দেহে ভালোমানের খেলোয়াড়। বলাটা ঠিক হবে কিনা জানি না তারপরও বলছি ওরা খেলার পরও তো বাংলাদেশ ১-৪ গোলে হেরেছিল। কথাটা কেন বললাম জানেন, তাদের জায়গায় যারা আজকের ম্যাচে খেলবেন, পারফরম্যান্স ১৯-২০ হতে পারে। ওরাতো যোগ্যতা দিয়েই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। তবে এটা বলব মাঠে বুঝে-শুনে খেলতে হবে। বলটা পায়ে রাখতে হবে। দুই ম্যাচে টিভিতে লক্ষ্য করেছি, বল পায়ে এলেই খেলোয়াড়রা কেন জানি নার্ভাস হয়ে পড়ে। ভুল পাশে প্রতিপক্ষরা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতা ম্যাচ ড্র করেছি। ভারতকে আমরা ৭৯ মিনিট পর্যন্ত আটকানোর পরও ২ গোলে হেরেছি। অতিরিক্ত স্নায়ুচাপে কেন এমন হবে? ওমান ম্যাচে ফেবারিট। তাদেরই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তার মানে এই নয় যে ম্যাচের আগেই হেরে যাব। ওমানের বিপক্ষে পাঁচ তারকা নেই। তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে, আজকের ম্যাচে তরুণরাই প্রাধান্য পাবে। নতুন না হলেও একে আমি নতুন বাংলাদেশই বলব। মনোবল ধরে রাখতে হবে। যার যার সেরাটা দিতে হবে। জামালদের পরিবর্তে যারা আজ খেলবে তারা চ্যালেঞ্জ নিয়েই লড়বে। প্রমাণ করতে চাইবে আমরাও পারি। এরাই তো আগামীর ভরসা। সুতরাং কেউ যদি বাংলাদেশকে খর্বশক্তি বলে তা ভুল হবে। পজিশন ধরেই খেলতে হবে। বল ছাড়া দৌড়াদৌড়ি করলে দলেরই ক্ষতি। যা ঘটেছে ভারতের বিপক্ষে। ডিফেন্ডাররা অযথা যেন ওপরে উঠে না আসে। মনে রাখতে হবে প্রতিপক্ষটা ওমান। কোচ জেমি ডে নিশ্চয় আজ কৌশলী হবেন। শিষ্যরা বুঝে-শুনে খেললে পয়েন্ট আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর