বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের রূপকথা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইউক্রেনের রূপকথা

দলে উল্লেখ করার মতো নেই কোনো তারকা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের পরাশক্তি নয়ও ইউক্রেন। কিন্তু মাঠে না খেললেও মাঠের বাইরে রয়েছেন একজন বিশ্ব তারকা, নাম আন্দ্রে শেভচেঙ্কো। যিনি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ‘ব্যালন ডি’অর’ জিতেছেন। এসি মিলানের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ইউক্রেন। এরপর আর কোনো বড় আসরের শেষ আটে খেলা হয়নি। পরশু রাতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে সুইডেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে প্রথমবারের মতো। আগে ছিলেন খেলোয়াড়। এবার দলের কোচ। সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শেভচেঙ্কোর শিষ্যদের প্রতিপক্ষ গ্যারি সাউথগেটের ইংল্যান্ড। আগামী শনিবার ইতালির রাজধানী রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে ইউক্রেন।

ইউরোর নকআউট পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে মুখোমুখি হয়েছিল ইউক্রেন ও সুইডেন। রোমাঞ্চকর ম্যাচটির পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল ১-১ গোলে ড্র। ম্যাচজয়ী গোলটি পায় শেভচেঙ্কোর দল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের সঙ্গে যোগ করা সময়ে। ম্যাচে আলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর গোলে এগিয়ে যায় ইউক্রেন। সমতা আনেন সুইডেনের এমিল ফর্সবার্গ। নির্ধারিত সময় শেষ করে অতিরিক্ত সময়ও শেষ হওয়ার পথে। দুই দল যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল টাইব্রেকারের। তখনই সুইডিসদের চমকে দিয়ে আসর থেকে বিদায় আর্তেম। অথচ শুরুতে একাদশে ছিলেন ম্যাচের নায়ক আর্তেম। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমেই বাজিমাত করেন। নকআউট পর্বে সুইডেন জায়গা নেয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। আর শেভচেঙ্কোর শিষ্যরা জায়গা পায় তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটি হয়ে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আসর থেকে বিদায় করেছে শাকিরির সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডও নকআউট পর্বে সুযোগ পায় তৃতীয় সেরা চার দলের একটি হয়ে।

প্রথমবারের মতো ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ইউক্রেন কোচ শেভচেঙ্কো। তবে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড নিয়ে বাড়তি ভাবনায় নেই তার, ‘ইংল্যান্ড দুর্দান্ত একটি দল। আমরা জানি ম্যাচটি কত কঠিন হবে। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের তিনটি ম্যাচই দেখেছি। তাদের বিপক্ষে গোল করা অবিশ্বাস্যরকমের কঠিন।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর