বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
হারারে টেস্ট

লিটনের ৫ রানের আক্ষেপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লিটনের ৫ রানের আক্ষেপ

আট বছর পর হারারেতে টেস্ট খেলছে টাইগাররা। ২০১৩ সালের ওই টেস্টটি জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সুখস্মৃতি নিয়েই গতকাল খেলতে নামেন মুমিনুলরা। দীর্ঘসময় পর খেলতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সেই ধাক্কা সামলে শুরুতে প্রত্যয়ী ব্যাটিং করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে সবধরনের বিপর্যয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে আকাশসম দৃঢ়তার ব্যাটিংয়ে দলকে একটি সন্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য লিটনের। হিমালয়সম দৃঢ়তায় ব্যাটিং করে দল বাঁচালেও ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরির দেখা পাননি। নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৯৫ রানে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল ও মাহমুদুল্লাহও। তিন হাফসেঞ্চুরিতে আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান।

হারারের রেকর্ড বলছে, উইকেটে স্পিনারদের চেয়ে পেসাররাই সহায়তা পেয়ে থাকেন। এমন হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশ খেলতে নামে মাত্র দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও এবাদতকে নিয়ে। ৯ ব্যাটসম্যান নিয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুঝারাবানির সুইং ও বাউন্সের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি সাইফ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারেই মুঝারাবানির বাউন্স ও গতিতে ফিরে যান দুজনে। এরমধ্যে সাইফ ৫ টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো শূন্যরানে আউট হন। শান্ত করেন ২ রান। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল ও সাদমান দুজনে যোগ করেন ৬০ রান। টাইগাররা লাঞ্চে যায় ৭০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। নাইওচি, মুঝারাবানি ও এনগারাভার সাঁড়াশি আক্রমণে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুমিনুল বাহিনী। সেখান থেকে টেনে তুলেন মাহমুদুল্লাহ ও লিটন। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১৩৮ রান। ২৫ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে উদযাপন করার আগেই তিরিপানোকে পুল খেলে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন লিটন। নামের পাশে তখন ৯৫ লেখা। ১৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ১৩ বাউন্ডারি। লিটন আরও একবার নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ রানে আউট হয়েছিলেন। লিটনকে আউট করার পরের বলেই মিরাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিরিপানো। পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও তাসকিনের দৃঢ়তায় সেটা হয়নি। নবম উইকেট জুটিতে মাহমুদুল্লাহ ও তাসকিন অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন পার করেন। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৫০ নম্বর টেস্টে এটা মাহমুদুল্লাহর ১৭ নম্বর হাফসেঞ্চুরি।

প্রথম দিনটি বাংলাদেশের

বাংলাদেশ : প্রথম ইনিংস, ২৯৪/৮, ৮৩ ওভার (সাদমান ২৩, মুমিনুল ৭০, মুশফিক ১১, লিটন ৯৫, মাহমুদুল্লাহ ৫৪*। মুঝারাবানি ৩/৪৮, তিরিপানো ২/৩৬, নাইয়াচি ২.৬৯)।   

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর