রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বিস্ফোরক সাকিবকেই দেখতে চান তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিস্ফোরক সাকিবকেই দেখতে চান তামিম

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ১৫৫ রানের পবর্তসমান জয়ে টানা জয়ের রেকর্ডকে আরও উঁচুতে নিয়ে যায় তামিম বাহিনী। আজ হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয় পেলে শুধু সিরিজই নিশ্চিত হবে না টাইগারদের, কোনো দেশের বিপক্ষে নিজেদের টানা জয়ের রেকর্ডও সমৃদ্ধ হবে। আজ সিরিজ জিতলে টানা ১৮ জয়ের রেকর্ড গড়বেন তামিমরা। প্রথম ওয়াডেতে টাইগারদের জয়ের দুই নায়ক লিটন দাস ও বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। আকাশসম চাপ সামলে ১০২ রানের জাদুকরী ইনিংস খেলেন লিটন। ঘূর্ণি জাদুতে সাকিব তুলে নেন ৫ উইকেট। ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ে দুই দুটি রেকর্ড গড়েন সাকিব। তিনি এখন টাইগারদের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। তিনি পেছনে ফেলেন টাইগারদের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। দ্বিতীয়টি টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০-তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। বাঁ হাতি স্পিনারের তালিকায় উইকেট শিকারে তার চেয়ে এগিয়ে শুধুমাত্র ড্যানিয়েল ভেট্টরি (৩০৫) ও সনত জয়সুরিয়া (৩২৩)।

এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই বাজিমাত করেন সাকিব। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজসেরা হন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সাফল্য না পেলেও প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল। ৯.৫ ওভারে ৩০ রানের খরচে নেন ৫ উইকেট। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০- তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের উইকেট ৫৮১টি। এজন্য তিনি খেলেছেন ৩৪৭ ম্যাচ। ৫৮ টেস্টে সাকিবের উইকেট ২১৫, ২১৩ ওয়ানডেতে ২৭৪ উইকেট এবং ৭৬ টি-২০ ম্যাচে উইকেট ৯২টি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে ২০০’র উপর উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ওয়ানডেতে সাকিব ছাড়াও মাশরাফি ২৭০ এবং আব্দুর রাজ্জাক রাজ ১৫৩ ম্যাচে ২০৭ উইকেট।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব ২৫ নম্বরে। তার চেয়ে ৮ উইকেট এগিয়ে নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তির পেসার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। ২০১ ম্যাচে হ্যাডলির উইকেট ৫৮৯। সব ফরম্যাট মিলে সবচেয়ে বেশি উইকেট শ্রীলঙ্কার লিজেন্ডারি স্পিনার মুত্তিয়া মুরলীধরন। ৪৯৫ ম্যাচে মুরলীর উইকেট ১৩৪৭। ১৩৩ টেস্টে উইকেট ৮০০, ৩৫০ ওয়ানডেতে উইকেট ৫৩৪ এবং ১২ টি-২০ ম্যাচে ১৩ উইকেট রয়েছেন মুরলীধরনের। দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। ৩৩৯ ম্যাচে তার উইকেট ১০০১। ১৪৫ টেস্টে উইকেট ৭৯৮ এবং ১৯৪ ওয়ানডেতে ২৯৩ উইকেট। তিনে রয়েছেন ভারতের অনীল কুম্বলে, ৪০৩ ম্যাচে উইকেট ৯৫৬টি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের উইকেট ৫৮১টি। তার অবস্থান ২৫ নম্বরে। দুইয়ে মাশরাফির উইকেট ৩১০ ম্যাচে ৩৯০টি। মাশরাফি ৩৬ টেস্টে উইকেট নিয়েছেন ৭৮টি। ২২০ ওয়ানডেতে উইকেট ২৭০ এবং ৫৪ টি-২০ ম্যাচে উইকেট ৪২টি। মাশরাফি ৫৬ এবং আব্দুর রাজ্জাক রাজ ২০০ ম্যাচে ২৭৯ উইকেট নিয়ে ৯১ নম্বরে রয়েছেন।

তামিম বলেন, ‘ক্রিকটে বিস্ফোরক সাকিবকেই দেখতে চাই। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে তিনি তিন ফরম্যাটেই জ্বলে উঠবেন আশা রাখি। তাকে ঘিরেই টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পরিকল্পনা করবে।’

সর্বশেষ খবর