শিরোপা হয়তো ফসকে যাবে না। তবে অপরাজিত থাকল না টেবিলে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস। ১৮ ম্যাচে একমাত্র শেখ জামালের বিপক্ষে ড্র করে ছুটে চলেছিল কিংস। অবশেষে তাদের হারতেই হলো। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। এ ফলকে কোনোভাবেই অঘটন বলা যাবে না। পারফরম্যান্স দেখিয়েই পুরো পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছে বন্দর নগরীর দলটি। রবসন, বেসেরা, ফার্নান্দেজ নৈপুণ্য যে বসুন্ধরা কিংস সবাইকে কাঁদিয়ে ছাড়ছিল। তারাই কিনা হারের খাতায় নাম লেখালো। পেশাদার লিগে এখন কেউ আর অপরাজেয় রইল না। এই জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হবে না ঠিকই। তবে অপ্রতিরোধ্য কিংসকে হারিয়েছে এ কৃতিত্ব পেতেই পারে।
আসলে বসুন্ধরা কিংসের চেনা যে রূপ তা গতকাল দেখা যায়নি। শুরুর ২০ মিনিটে প্রাধান্য বিস্তার করলেও তারপর যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে। রবসন ও বেসেরা আক্রমণ করে প্রতিপক্ষদের দিশাহারা করে ফেললেও চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডাররা চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রথম পর্বে কিংস ঘাম ঝড়ানো জয় পেয়েছিল বন্দর নগরীর দলটির বিপক্ষে। কাল কিংসের রক্ষণভাগও ছিল এলেমেলো। খালিদ শাপিও প্রতিপক্ষদের সেইভাবে ট্রাকেল করতে পারিনি।
বসুন্ধরার ম্যাচ মানেই নায়ক রবসন ও বেসেরা। সেই দৃশ্যটা বদলে গেল। নায়ক বনে গেলেন নাইজেরিয়ান ম্যাথু চিনেডু। তারই জোড়া গোলে লিগের বড় ধাক্কাটা খেল কিংস। ৩৯ মিনিটে চিনেডুর গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চ্যাম্পিয়নরা। মনে হচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধে সব কিছু গুছিয়ে নেবে অস্কারে শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের দূর্গে আক্রমণ চালালেও তা গোল হওয়ার মতো ছিল না।৫০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও জালের বদলে বল উড়িয়ে মারেন রাউল বেসেরা। ৮৭ মিনিটে রবসন রবিনহো দুর্দান্ত গোল করলেও সমর্থরা নিশ্চিত হয়ে যায় জয় না হোক অপরাজিতো থাকছে। কিন্তু চিনেডুর ম্যাজিকে সবাই অবাক। ১ মিনিট পরই চার ডিফেন্ডার কাটিয়ে দেশ সেরা গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করেন। এ গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।